যদি চলে যাই ব্যথাতুর পৃথিবীর বিষাক্ত নগরী ছেড়ে;
মনে রেখো, কেউ এসেছিল নিদাঘ তিয়াসী পৃথিবীর দুপুরে।
অশত্থের মতো বাঁচতে চেয়েছিল ধরায়-
কাল-মহাকাল ধরে,
সূর্যের তাপ ও চাঁদের আলোয়-
ভরিয়ে দিতে চেয়েছিল এ পৃথিবীর উদর-
সমান করে।

অনাদিকাল ধরে জমাট বাঁধা পৃথিবীর পরে
ঘুমোতে চেয়েছিল দু দণ্ড,
দেবদারুর তলে;
কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য দেখে,
কুকিলের কুহুকুহু,
ঝিঁঝিঁপোকা ডাক,
অম্র মুকুলের ঘ্রান চোখে মেখে-
পূবের বনে।

আজও মনে পরে-
কুয়াশায় ঢাকা মমতাময়ী শীতের ভোর,
গ্রীষ্মে কাঠ ফাটা তিক্ত রোদ,
অগ্রহায়নে নবান্নের ধানের উৎসব,
বসন্তে হেসে উঠা বৃক্ষের প্রতিটি কাণ্ড থেকে ফুলের পরাগায়ন।

কিন্তু হায়!
আজ- এই সবি' স্মৃতি,
স্মৃতির কবর খুঁড়ে দেখলাম কিছুকাল-
ম্লান হওয়া স্মৃতির লাশ!

আজ পৃথিবী আমাকে-
দিয়েছে উপড়ে ফেলে,
সমূলে;
বিষাদের তাপে রক্ত কণিকা ফেটে
চোখ বেয়ে ঝরছে লাল পানি।
বোধ হয়, মৃত্যু মিছিলে নাম লেখানো আমি নতুন এক প্রাণ!
জীবন খুঁজি মৃত্যুর ভিড়ে,
না!
মৃত্যু খুঁজি জীবনের ভাগাড়ে!

অনুমেয় মৃত্যুর অনুরাগ- জাগিয়ে রাখে রাতভর;
দাপিয়ে বেড়াই চাঁদের মতো;
কথা হয় নক্ষত্রের সাথে,
গান শুনি পেঁচাদের বোবা কন্ঠে!

তবুও প্রান ভিক্ষা মাগে মৃত্যুর- স্বাধ করে,
নিশিথের রাতে;
জীবন কিনে মুক্তি
মৃত্যুর হাটে,
খোলা চোখ নুইয়ে পরে
চির নিদ্রায় মাঠে!

রচনা কাল
২০.০৫.২০২৩
রাত- ১২.০০