মানুষ মারা যায়, পাতা ঝরে যায়;
মৃত নক্ষত্রেরা খসে পড়ে,
সন্ধ্যা হয়- পাখিরা নীড়ে ফিরে।
এই যে কোলাহল-নিস্তব্ধতা, সঙ্গ-নিঃসঙ্গতা, শব্দ-নৈশব্দতা- কেন এতো নাটকীয়তা!
আলো-অন্ধকার, সুখ-দুঃখ, ভালোবাসা-বিচ্ছেদ কেনো'বা এর সৃষ্টি!
মৃত্যু- জীবন; প্রাণের সাথে প্রাণের এটাই কি সন্ধি?

মানুষতো প্রতি ক্ষণেই মরে বাঁচার আশায়,
জীবন চাকা ঘুরাতে পাথরের দেশে।
বুঝিনা জীবনই মৃত্যু নাকি মৃত্যুই জীবন!
বিষন্নতার চোরাবালি আর অশ্রু জলের পাথারে
ডুবে যায় প্রাণ!
কালোর মূর্ছনায় দাপিয়ে বেড়ায় বাদুর,
গাঢ় কালোর আলোয় শুনা যায়-
অতৃপ্ত আত্মার ভস্ম বিলাপ!

তবু' তো মানুষ বাঁচে নতুন আশায়,
জিইয়ে রাখে জীবন ভালোবাসায়।
এ দেখে কৌতুকী চাঁদ হেসে হেসে কয়-
মানুষ বড্ড আত্মভোলা!
নিজেকে না চিনিয়া খুঁজে ফিরে প্রাণ!

কিন্তু বুঝে না চাঁদের কথা,
অস্তিত্ব সংকটে থাকা জীবন
তবু' মিটিয়ে যায় প্রাণের ক্ষুধা।

রচনাকাল
১২.০৮.২০২৩