সুখ চেয়েছিলাম-
অতৃপ্ত সুখের তরে বুভুক্ষু হয়ে ঘুরেছি দিগ্বিদিক।
ঘেমেছি কুয়াশায়,
মেখেছি ধূলো,
ছুঁয়েছি পর্বত শিখর।
অবশেষে- বেলাশেষে, দিনশেষে;
অন্ধকার জলের স্রোতে ভেসে গিয়ে খুঁজে পেয়েছি অতৃপ্ত কুৎসিত সুখ!
যে সুখ চায়না কোন সুস্থ আত্মা, সুস্থ দেহ;
সে অসুস্থ সুখের তরে,
কেঁদেছি,
জাগিয়া থেকেছি রাত বিরাত!
আজ এ' অসুস্থ সুখের সাথে আলিঙ্গন করেছি- প্রলয় মেঘের বিজলী সম!
লেপটে থেকেছি অতৃপ্ত সুখের সাথে!
কুৎসিত সুখের সে নির্মম পরিহাস আমি দেখেছি- আমার ফিকে হয়ে আসা চোখে!
সুন্দরের মোড়কে প্যাঁচানো অতৃপ্ত এই সুখ- বড় কুৎসিত-কদাকার!
গুমোট বাঁধা মেটেল গন্ধে রক্ত বমি হয় অনেকের;
কিন্তু আমি পাষাণ- সে রক্ত বমি হজম করে হয়েছি বিনাশ!
কৃত্রিম, অসুন্দর, অসত্য, অতৃপ্ত, কুৎসিত পিচ্ছিল সুখে পিছলে- ঘটেছে জীবনের অবসান!
সকালের সূর্যের ন্যায় আমার অসত্য সুখের পিছে বুভুক্ষু হয়ে ঘুরা যেমন সত্য;
তেমনি সত্য-
রুপালী রঙে পেঁচানো রাতের চাঁদ ও তারাদের মত;
আমার ফিরে আসার গল্প!
রচনাকাল-
২৬.০১.২০২৩
বিকাল: ০৪. ১৭ মিনিট