শাহাদাতের তামান্নাতেই উজ্জীবিত হই- রঙিন;
পড়লে মনে রক্তে রাঙা কারবালার ঐ করুণ দিন!
রক্ত দিলেন নবীর হোসেন বক্ষে হাজার খঞ্জর,
এক কৎরা পানির লাগি ঝরে গেলো আজগর!
মা ফাতেমার চোখের জলে মুছেনি সে রক্ত দাগ,
মুসলিম হয়ে জন্মেও নেই মুহাররম এর অনুরাগ।
শুন তবে ছোট্ট করে বলি সেই কাহিনী,
পত্র পেয়ে আলী পুত্র ঘুমায়না সেই যামিনী!
দিন প্রহরেই রওনা দিলেন পুত্র স্বজন লই'য়া
দুখের কথা বলবো কি ভাই চক্ষু আসে ভরিয়া।
কাঁন্দে নারী কাঁন্দে শিশু কাঁন্দে জমিন আসমান;
নবীর হোসেন হয় অপমান দেখেন তাহা রহমান!
যুদ্ধ হবে অস্ত্রও নাই, নাই শক্তি- সৈন্যদল,
তবুও রাখে আস্থা খোদায় পায় সেথায় মনোবল।
ঝনঝন সুরে বাজছে কৃপাণ- দ্রিম দ্রিম বাজে দামামা,
নূতন কাপড়, সুরমা আতর, মাথায় বেঁধে আমামা;
নানার উপর দুরুদ পড়ে হাত উঠালেন তার পানে-
খোদাই জানে কি হবে আজ ফয়সালা হয় কার শানে।
ছুঁটে ঘোড়া হোসেনের নিয়ে হাতে শমশের,
ভয়ে কাঁপে থরথর সেনাদল ইয়াযিদের।
খুন করে শত সেনা- বিদ্রোহী শ্রান্ত,
আজগর জয়নাল ভেবে ভেবে ক্লান্ত!
ওজু করে নামাজেতে দাড়ায়েছে হুসাইন;
ঐদিকে ইয়া-যিদ বাজায়েছে রণবীণ!
একে একে শত তির ক্ষত করে তার বুক,
শাহাদাতী সুরা পিয়ে হেসে উঠে তার মুখ।
ফিরে এলো ফের দেখো- আশুরার লাল মাস,
বলছে-
ভুলে গেছ সেদিনের হোসেনের হাহুতাশ।
ভুলিনি! ভুলিনি! আজোও সেই কাহিনী-
আশুরার রক্ত মরু তাপে শোষে নি!
জেগে আছে আজোও লাখো হুসাইনি সৈনিক,
জয়নাল আজগরে ভরে গেছে চারিদিক।
শুন! গেয়ে যাবো এই গান চিরদিন গুনগুন,
শুকাবে না কোন দিনও আশুরার লাল খুন।
১০ মুহাররম ১৪৪৪
০৮.০৮.২০২২
রাত ২.৫০ মিনিট