আজকাল তোমাকে বড়
বেশী মনে পড়ে।
মনে পড়ে তোমাকে
ফুচকা চটপটি আইসক্রিম
ধুমায়িত চা, তুমুল আড্ডাতে।
একবার বই মেলায়
কী কান্ডটাই না করলে,
বই মেলার সব বই তোমাকে
কিনে দিতে হবে।
বড্ড হাসি পায় তোমার ছেলেমানুষি
মনে হলে।
সেদিন শাহবাগের পরিচিত ফুলের
দোকানে, কী যে ছেলে মানুষের মত
অমন বায়না ধরলে
দোকানের সব ফুল কিনে দিতে হবে
তোমাকে।
সেটা আজকাল বড্ড বেশি মনে পড়ে।
বেশ মনে পড়ে
সেদিন তুচ্ছ একটা ব্যাপারে
সে কি ঝগড়া শুরু করলে,
সারাদিন বায়না ধরা খুকির মতো
গাল ফুলিয়ে রাখলে।
সে রাতে দু'জনেই না খেয়ে
শোবার খাটে পাশ বালিশে
মাথা রেখে ঘুমাতে গিয়েছি,
বেশ মনে পড়ে তুমি ছেলেবেলায়
পুতুল হারানোর মতো দুঃখে
ফুঁপিয়ে কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে গেলে।
আমি সারারাত তোমার মাথাটা
আমার বুকের মাঝে রেখে
তোমার চুলে আলতো করে বিলি কেটেছি সন্তর্পনে।
সেদিন ভোরবেলা হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গলে,
তুমি আমাকে ভীষণ ভাবে জড়িয়ে
ধরে বাচ্চাদের মত ফের একটু কাঁদলে।
সেদিন আমায় কী যে আদর করলে
আজ সেটা বড় বেশী মনে পড়ে।
এখন কেবলি মনে পড়ে তোমাকে,
মনে পড়ে তোমাকে
দুঃখ কষ্ট
তুমুল ঝগড়াতে।
আজকাল তোমাকে বড্ড মনে পড়ে,
খুব মনে পড়ে সে জোৎস্না রাতের কথা।
একদিন খা খা করে জোছনা হলে
বৌদ্ধ পূর্নিমার রাতে,
আমরা মাদুর পেতে উঠানে
তুমি ধ্যানী কবির মত জোছনায়
হারালে আর আমি
মায়াবী জোৎস্নায় তোমাতে।
এখন কেবলি মনে পড়ে তোমাকে,
মনে পড়ে তোমাকে
আষাঢ়ে বৃষ্টি
বৈশাখী ঝড়
তুমুল জোৎস্নাতে।
ঢাকা
৩০.০৪.২০২১