মাগো আমায়
দাও সাজিয়ে
আবার আমি
যুদ্ধে যাবো।
দূর্নীতি বাজদের
কল্লা মাগো
এক কোপাতে
কেটে নিবো।
মাগো আমায়
দাও আশীর্বাদ
আবার আমি
যুদ্ধে যাবো।
দূর্নীতি বাজদের
ধরে ধরে
জ্যান্ত কবর
মাগো দিবো।
মাগো আমায়
দাওগো দোয়া
আবার আমি
যুদ্ধে যাবো।
দূর্নীতি বাজদের
চিতায় জ্বেলে
তোমার কোলেই
ফিরে আসবো।
মাগো আমায়
দাওগো বিদায়
আবার আমি
যুদ্ধে যাবো।
বঙ্গবন্ধুর সোনারবাংলা
তোমায় মাগো
ফিরিয়ে দিবো।
ঢাকা
৪/৬/২৪
উৎসর্গঃ এই ছড়া কবিতাটি উৎসর্গ করা হল
সময়ের সাহসী সৈনিক, কালজয়ী নির্ভীক বীর যোদ্ধা, দূর্নীতি বাজদের জন্য এক মহা আতংক।
সেই মানবতার ফেরিওয়ালা সিলেটের হবিগঞ্জের এক দামাল ছেলে। ( বর্তমানে এম,পি
হবিগঞ্জ-৪) ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন কে।
কবি কাজী দিলু।
মুক্ত আলোচনাঃ
দূর্নীতি ক্যান্সারের মত একটি ভয়ংকর রকমের রোগ। মরনব্যাধী ক্যান্সার যেমন একজন মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। ঠিক দূর্নীতি একটি দেশকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের অতলে ডুবিয়ে দেয়। দূর্নীতি বাজদের জন্যই আজকে একটা দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারে না। দূর্নীতি বাজরা দেশের শত শত কোটি টাকা লুটপাট করে খুব আরাম আয়েশে জীবন যাপন করছে। এমনকি কেউ কেউ বিদেশে বাড়ি গাড়ী অঢেল টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স পযর্ন্ত করছে। অথচ একমাত্র তাদের কারণে দেশের অসহায় গরীব মানুষেরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আজকাল প্রায়ই দেখি ক্ষুধার জ্বালা পেটে নিয়ে ফুটপাতে মানুষ গুলো কুকুর বেড়ালের সাথে ঘুমাচ্ছে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে কেন ক্ষুধা পেটে অভূক্ত মানুষ ঘুমাবে?
কেন আশ্রয়হীন মানুষ গুলো ফুটপাতের নোংরা রাস্তায় পড়ে থাকবে?
কেন? কেন? কেন?
শুধু মাত্র অল্প সংখ্যক দেশদ্রোহী স্বার্থলোভী দূর্নীতি বাজদের কারণে।
আমি সেই দূর্নীতি বাজদেরকে হৃদয় হতে ঘৃণা করি। হোক সে দূর্নীতি বাজ রাষ্ট্রপতি, হোক সে প্রধানমন্ত্রী, হোক সে সরকারি আমলা, হোক সে সরকারি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন কর্মকর্তা, হোক সে বড় নেতা, বড় কোন ব্যবসায়ী, হোক সে অর্থ লোভী বড় কোন ডাক্তার, হোক সে মহান আদালতের অর্থ লোভী বিপথগামী বিচারক।
আজ আমি ঘৃণার সাথে থু থু নিক্ষেপ করি সেই মানুষ রুপি অমানুষ দূর্নীতি বাজদের কুৎসিত মুখে।
থু- থু -থু।
কবি কাজী দিলু।