তুই জানিস বাপ?
তীব্র্র ব্যাথার নীলে আচ্ছাদিত সফেদ দেহ
বালিশে লুকানো মুখ, চোখের জলের জলধি
বুকে তার ভীষন মায়া, করুণ চোখের চাহনী,
তুই থাকলে দেখতি, তাহার ব্যাথায় কাঁদতি।

                তুই জানিস বাপ?
এক-একটি চিৎকারে ফুলে ফেঁপে ওঠে গ্রীবার শিরা-উপশিরা,
আঁখিজোড়া টকটকে লাল, ফিনকি দিয়ে গড়িয়ে পড়ে রক্ত,
তোকে আটকে রাখার কত চেষ্টা, কত আয়োজন
এতো অভিমান তোর? চলেই গেলি?

                 তুই জানিস বাপ?
লোহিত রক্তকনিকার সাথে সন্ধি করে, ভাসতে ভাসতে চলে গেলি
দূর বহু দূর----
তোর জননীর ব্যাথা প্রানে নাহি সয়
যেখানেই যাস, হোক যতদূর, নিব তোর পিছু ।

                  তুই জানিস বাপ?
তোকে খুজে পাওয়া দুষ্কর নয়, কোথা আর যাবি?
বুধ, বৃহ:স্প্রতি, শুক্র, ইউরেনাস? নয়তো নাম না জানা কোন গ্রহে,
পৃথিবী থেকে বিদায়ের পর তোকে খুজব-
খুজে পেলে বলব---
তুই কেমন আছিস বাপ? চিনতে পারছিস আমায়?
আয় বাপ আমার বুকে আয়?
তোর মায়ের কাছে যাবি আয়!