অস্ফুট এক অন্ধকারে বিষণ্ণ শারদ সন্ধ্যা,
দিন শেষে প্রত্যয়িত নিমজ্জনের প্রতীক্ষায় থাকে
ভাবনার দ্রাঘীমায় বিপন্ন কিছু অবাধ্যতা।
আযানের করুণ সুরে ভেসে আসা সমাপনী তানে
উষ্ণ সম্ভোগ সুখে কামিত রাত্রী বেশ অপরিচিত।
চোখের কালো গহীনে সুপ্ত কিছু হাহাকার জ্বালা
রোদনের দীর্ঘশ্বাসে উজ্জীবিত হওয়ায় প্রস্তুতিরত।
পেলব রাত্রির আগমনে হাতে নাও বিস্মৃতির ইরেজার
কেড়ে নিও সবটুকু রঙ, বর্ণিল কিছু ফেলে আসা অনুরাগের।
জানি বড্ড দু:সময়ে আমার শব্দের দিনলিপি,
পান্ডুলিপির সবপাতারা করেছে অনশন,
ওদিকে ভাবনার মুখেও স্তব্ধতার দৃঢ় অংগীকার।
অথচ কথাছিল জীবনানন্দ থাকবে, থাকবেনা ধূসরতা।
বিষাক্ত নিশ্বাসের বিকট স্পর্শে সংজ্ঞাহীন বোধ
পৃথিবীর কাছে করজোড়ে মিনতি- শব্দ দাও শব্দ।
এক একটি শারদ সন্ধ্যায় শব্দহীনতা যে মহাপাপ।
তৃষিত শব্দ পান্ডুলিপির প্রেমাপ্লুত শরীরের ভাঁজ বেয়ে
নেমে আসুক আরো নীচে প্রেমিক পরশ নিয়ে।
ছুঁয়ে যাক উন্মাদ হাত তপ্ত শরীরের সর্বময়।
চোখ মেলে দেখবে তুমিই পান্ডুলিপি,
শব্দরাও যেন কবিতা হবে সেদিন,শরীরী দখল ছেড়ে।