একদা প্রদোষে প্রতীক্ষিত তুমি একাকী অন্ধকারের নিবিড় আলিঙ্গনে
গত হয়ে গেছে কতনা সমৃদ্ধির বিকেল আর গোধূলির বালিয়াড়ি সুর।
এরপর আবার অন্ধকার নামে, দিগন্তের গ্রীবা বেয়ে নেমে আসে ধীরে
নগ্ন রমণীয় প্রত্যূষগুলো ঢেকে যায় সান্ধ্য আবেশে নীরবতার পর্দায়,
শ্লেষ মাখা কণ্ঠে তোলা সুর- ভ্রমিত সে, প্রতিধ্বনি জাগায় আর্তির
নিথর বিছানায় শীৎকার তোলো শতাব্দীর জমে থাকা কামোত্তাপে
আমিও যুগপৎ অঙ্গার হই যাতনার অনিমেষ দহনে রাত্রির কোলে।
অরাতি অন্ধকারে মিত্রতা গড়ি আমরা, অবিচ্ছেদ্য সন্ধি হই যাতনার
গলিত শবে ধরা দেই নৈরাশ্যের অন্তরাত্মায়, তুমিও অনন্ত ঘুমে
কামিত উল্লাসের পরে ক্লান্ত কায়ায় কাম জলে কামাত্রান্ত বিছানায়।
আড়ালে কেউ দুঃখ আঁকে, কিংবা রাত্রির স্তব্ধতায় সুর তোলে বিনাশের
রাত্রির শিরদাঁড়ায় অসীম অহম, প্রকট হয় আরো ধ্বংসোৎসবে
ওঁত পেতে দুঃখ ছড়ায় কোন সে ধ্বংসের ঈশ্বর! এসো বিলীন হই
একদা প্রদোষে, অন্ধকারের অতলে নিমজ্জনের প্রতীক্ষায় থাকি বিভোর।