আসরে আজই কবি অপর্ণা পালের কামপুরুষ কবিতাটি পড়লাম। কবিতাটি অনন্য না হলেও আমার কাছে খারাপ লাগেনি। তবে এই কবিতাকে ঘিরে বিভিন্ন কবিদের মধ্যে তর্কযুদ্ধ ও কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি আমাকে অনেক বেশি আহত করেছে।
যৌনতার প্রেক্ষাপট কবিতায় আস্তেই পারে। সেই সাথে কিছু প্রাসঙ্গিক জৈবিক আঙ্গিক শব্দও আসা স্বাভাবিক । আমি এটাকে কবিতার অংশই মনে করি। জানি আমার কথায় নিয়েও দ্বিমত আসতে পারে। আমার লেখার উদ্দেশ্য কবিতা নিয়ে আলোচনা নয় বরং আমি বলতে চাই কবিদের মন্তব্য ও আলোচনা সভায় লেখা নিয়ে।
আজ আসরে রাজিব ভৌমিকের একটা লেখা পড়লাম "কামুকপুরুষ এবং কবি অপর্ণা অনিরুদ্ধ প্রণব রেঁনেসা ও জনৈক বেশ্যা" যার কিছু অংশ আমি চূড়ান্ত ভাবে অসমর্থন করি। তর্কের উত্তর যুক্তিতে দিতে হয় কাউকে কটাক্ষ করে নয়। কটাক্ষ করে কথা বলাটা যুক্তি নয় বিতণ্ডা । কবি রেনেসাঁ সাহাকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর কথা বলা হয়েছে যা আমি একটি ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবেই মূল্যায়ন করি। তাই লেখাটি অপসারণের দাবি করছি।
শ্রদ্ধেয় কবি অনিরুদ্ধ বুলবুলকে নিয়েও আলোচনা ও মন্তব্যে অনেক কথা তুলে ধরা হচ্ছে। আমি শুধু এটাই বলব যে উনি কবিতার নির্যাসটুকু বের করে আনতে পারেন, আবার নিজের কবিতায়ও কবিতার ভাবকে স্পষ্ট করেন অনবদ্য রূপে। কবিতা নিয়ে উনার মূল্যায়ন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যথার্থ। ২/১ টা ব্যতিক্রম যা এখনো আমার চোখে ধরা পড়ে নি তার উল্লেখ করছি না।
অনিরুদ্ধ বুলবুল বা রেনেসাঁ সাহার কবিতা ও বিশ্লেষণী মন্তব্য অনেক তরুণ কবিদের জন্য ইতিবাচক বলে আমি মনে করি। তাই তর্কের অবসান ঘটানো জুরুরি কারন এতে ব্যক্তিগত আক্রোশ বাড়ে, বরং বিতর্কে যাওয়া যায় যা দুইটি আপেক্ষিক সত্যের মধ্য থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি গ্রহণযোগ্য সত্যটিকে উজ্জীবিত করে।
সর্বোপরি, মন কষাকষির অবসানে আমাদের সম্পর্কে সৌহার্দ্য আসুক। কবিতার জয় হোক, সাহিত্যের জয় হোক।