অমরত্বের দুর্বাসনা বয়েছি মুছে ফেলে নিয়ত নাগরিক প্রশ্বাস,
কুড়ায়েছি সময়ের ঝুড়িতে জমা নেয়া বিষাক্ত প্রাপ্তির ক্লেদ।
সন্ধ্যা নামলে নিয়ন আলোয় পোড়া ব্রাত্য ছায়া
প্রসারিত হয় ঢের।
মোহিত ছন্দে তাড়িত বাষ্পসুখের হিন্দোল পরশে কাঁটা লাগে দেহে,
আজন্মকাল লালিত বোধের চিত্রলিপি কেবল পৃষ্ঠমুখী অগত্যা।
জীবনের গতিপথে ভ্রমের উল্লাস, ভ্রান্ত হই, ক্লান্ত হই নিত্য।
পথ চেয়ে আছে আসন্ন সূর্য এক, অনন্ত আলোকময় স্তনবতী সে!
ছুটছি ফেলে সব পিছুটান, অন্তহীন মুক্তির অন্বেষিত তৃষ্ণায়।
বালুকাবেলা উড়াক সব স্মৃতির ধুলো, নৈঃশব্দ্য গোধূলি মায়ায়
শেষ প্রহরে অনাঘ্রাত রঙন সুবাসের আক্ষেপে শুরু হোক প্রলয়ের তান।
তুমি আজ সান্ধিবিগ্রহিক, বড় বেশি দ্বিধায় তবু অবিচল।
এঁকে দাও অধিকারের সীমা, বড্ড বেশী নিয়মের কাগুজে দস্তখতে;
নিজেকে হারাই, ভুলি সব গ্লানিবোধ, সূর্যের চেনা আলোক বক্ষে ডুবে।
পরিনত সুখের খোঁজে আবার মুখোমুখি বসে আমাদের সৈন্যসামন্ত-
অমরত্বের অন্ধকূপ গভীর হয় যখন, আমি তখন রুপোলী আধুলি এক।
জন্ডিসাক্রান্ত চাঁদের ছায়ায় রাত্রিরাও বেশ উদ্দীপ্ত হেমে সরগরম।
দাবার বোর্ডে টিকে রয় আমাদের মন্ত্রীদ্বয়, সান্ধিবিগ্রহিক
এরপর রাত্রির শামিয়ানায় বেড়ে ওঠে নরম নরম বাসনা, অমরত্বের।