অশ্রুতে ভাসায়ে বুক
লিখেছিলাম সেইদিন এই কবিতা
প্রাতঃকালে বাহিরিয়া
দেখিলাম সেইদিন চক্ষু ভরিয়া
রাস্তার ধারে ছেঁড়া পোড়া কাপড়ে শোয়া এই মানুষগুলি
কুহেলীকা শীতে কিচিরমিচির করে
যেন নীড় হারা পাখির বুলি।
দেখিলাম সেই দিন মায়েরে ঘিরিয়া
ক্ষুধাতুর শিশুর কান্না
নিশার তমসা ঘনায়ে আসিল
সে যেন এক দুঃখেরী বন্যা।
রাস্তার ধারে বাস করে তাহারা ক্ষনিকের নিলয়ে
দিবাকরে পুড়ায়ে বুক
বৃষ্টিতে ভিজায়ে এই জীর্ণালয়ে।
সারা দিবসখানী পরের খাটুনি করিয়া
পায় না কোন ফল
পায় শুধু তাহারা দুঃখসম ব্যথা
কি বলিব আর বল
ক্ষুধাতুর কষ্টে কাটায় তাহারা সারা দিবা রজনী
জল খেয়ে তাহারা কাটায় বেলা
বড়ই নিষ্ঠুর যেন এই মেদিনী।
নেই কোন গন্তব্য আর নেই কোন স্বপ্ন তাদের
ছুটিয়া চলিল এইখান হইতে ওখানে
হাঁটিতে হাঁটিতে রক্ত উঠিছে ফুটিয়ে
দেখ আজ কোমল এই চরণে।
দুয়ারে দুয়ারে হাঁটিয়া তাহারা পায় না এক মুঠো ভাত
কঠিন শিলা বক্ষে বাঁধিয়া পার করে দেয় রাত।