এখন রাত দুটো বাজে
আমি হসপিটালের বেডে শুয়ে আছি
নার্স এসে হাতে ইনজেকশন দিয়ে গেল
তাকে বললাম,“আমার মাথার শিয়রে
একখানা মোবাইল আছে,একটু দিবেন কি?”
তিনি বললেন,“আপনিতো অসুস্থ,
মোবাইল দেওয়া যাবে না,আপনি ঘুমোন।”
আমি অনেক অনুনয় বিনয় করে মোবাইলটা হাতে নিলাম
ম্যাসেঞ্জারে ঢুকে আমার প্রিয়তমাকে একটা ম্যাসেজ দিলাম
ম্যাসেজ সেন্ড হলো কিন্তু সিন হলো না।
সবুজ বাতিটা ঠিক তখনো জ্বল জ্বল করে জ্বলছিলো
আমি বুঝলাম, সে এখন ভীষণ ব্যস্ত
আমি বুঝলাম, আমাকে তার এখন আর কোন প্রয়োজন নেই ।
এখন রাত দুটো ত্রিশ
আমি তাকে কত শত ম্যাসেজ দিলাম
কিন্তু, ওপাশ থেকে কোন রেসপন্ড পেলাম না।
পুরো হাসপাতাল ঘুমিয়ে পড়েছে,শুধু ঘুমাইনি আমি
দূরে কোথাও কাক ডাকার শব্দ পেলাম
নিঃসঙ্গ কাকটিও হয়তো আমার মতো চিৎকার করে কাঁদছে।
আমার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছে,
শ্বাস- প্রশ্বাস কেমন জানি বন্ধ হয়ে আসছে
হৃদপিন্ডের মাঝখানে চিনচিনে ব্যথা করছে
অসহ্য কষ্ট হচ্ছে,শরীরে লাশের গন্ধ পাচ্ছি।
শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে যুদ্ধ করছি একটু বাঁচার জন্য।
তাকে খুব মনে পড়ছে,খুব ইচ্ছে করছে
শেষবারের মতো তাকে একবার দেখতে
বুকের ভেতর জমানো সব কথা বলতে।
এখন রাত তিনটে বাজে
আমি হসপিটালের বেডে শুয়ে আছি
চোখ দিয়ে অশ্রুর বন্যা বইছে
পুরোনো স্মৃতিরা চারপাশে এসে ভীড় করছে
কোলাহলপূর্ণ শহরটা নিস্তব্ধ হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে
শুধু ঘুম নেই আমার চোখে।