মানবের পিতা আদমকে সৃজিলেন খোদাতালায়
তাহা দেখিয়া ঈর্ষার অনল লাগিল ইবলিসের-ই গায়।
স্বর্গের ভিতর রাখিলেন প্রভু সৃষ্টির সেরা মানুষ
শত রিপুর তাড়নে ইবলিস হইলো যে বেহুঁশ।
ভাবিতে ভাবিতে শত ভাবিত সে বসিয়া নিরালায়
স্বর্গ হইতে তাড়াতে হইবে সতত খুঁজিত সে উপায়।
প্রভুর দেওয়া বিধান ছিল আদমের-ই তরে
কভু যেন না যায় সে গন্দম বৃক্ষের পরে।
হর্ষ-পুলকে থাকিত আদম স্বর্গের-ই ভিতরে
শত অংক কষিয়া ইবলিস পাইত না কোন ফল
শত রিপুর তাড়নে সে হইত যে বিহব্বল।
শেষবধী খাওয়াইলো সে আদমের-এ গন্দম বৃক্ষের ফল।
নীল নভঘনে বজ্র আসিয়া করিল সব ডল।
ইবলিস সে যে পণ করিল আল্লাহর দরবারে
খুনাখুনী করাইবে সে আদম সন্তানের তরে।
সেই থেকে সেই গড়িল মানব ঈর্ষা দিয়া জীবন
মানবে মানবে বিরাগ করিয়া করে সংঘাত করে শুধু রণ।
হিংস্র জানোয়ার আক্রমণ করে আপন নখর দিয়া
হত্যা করে মানব আপন ভাইকে ঈর্ষান্বিত হইয়া
হায়রে মানব! রক্ত মাংস নাই কি তোমার গায়?
কেমন করিয়া লাঠি মারো তোমার ভাইয়ের পায়?
মানব কী এতই পাষণ্ড ? এতই বর্বর?
নেই কেন আহ্লাদ আজ নেই কেন আজ সবর।
প্রভু মোদের জ্ঞান দিয়া পাঠাইলেন দুনিয়ায়
ভাই ভাই হইয়া বেঁচে থাকি যেন মোরা সর্বদায়।
শান্তির পথে চলবো মোরা এই করিলাম পণ
ধরার মাঝে দুষ্টু হইয়া করবো না কভু রণ।