একদিন তব লুকাইব আমি
চির অন্ধকার এই ঘরে
আসিব না আর তব বারে বার
এই ধরণীর তরে

শত সহস্র ব্যথা বেদনা নিয়ে
চলে যেতে হবে একদিন এই দুনিয়া ছেড়ে
মৃত্যু যখন তব আসিবে আমার
এই জীবনের মোড়ে

আত্মীয় স্বজন আর ঐশ্বর্য পড়ে রবে সবই
এই ধরারী মাঝে।
ঐপারেতে যখনি শুনিব
এই জীবনের ছুটির ঘণ্টা বাজে।

ধরণীর মাঝে কতই সুখে
বেঁধে ছিলাম শান্তি সুখের নিবাস
সব কিছু মোর রহিয়া যাইবে
যখনি হইবে এই জীবনের বিনাশ।

শূণ্য হস্তে সাদা বস্ত্রের মুড়ে
কাষ্ঠের খাটে শোয়াইয়া
নিয়ে যাবে মোরে কবরের দ্বারে
এই দিকে মোর
স্বজনেরা হায় কাঁদিয়া মরে
একে অপরকে জড়াইয়া।

কবর দেশটি ভাই এমনি হায় বুঝাইবো কাহারে বলে
প্রভুর স্মরণে কাঁদিয়া বুক
ভাসাইলাম নয়নের জলে।
অমাবস্যার তমসা থাকিবে চিরকাল
আসিবে না কভু সেথায় নিশাপতি
যুগ জনমের তরে দেখিব না আর
কভু বসুন্ধরার বিন্দুখানী জ্যোতি।

আঁধার তোমার আলোয় ভরিবে
যদি মান্য কর খোদার প্রতিশ্রুতি
স্বর্গে তোমার হইবে আবাস
যাহার নিম্ন দেশে ঝর ঝর ধারায় চলিতেছে স্রোতস্বতী।