আর কত দূর
কাশভি কাউসার
দূরত্ব টা যেন বেড়েই চলেছে, আর কতোদূর যেতে হবে
সংকীর্ণ মেঠো পথ, কত আর হোঁচট খেয়ে খেয়ে দাঁড়াব
সেই জৈষ্ঠে কাঁঠালের ঘ্রান মৌমাছির দুলফি ফুলে মধু আহরণ
পাঠ খড়িতে ঝুল লাগিয়ে প্রজাপতির পেছন পেছন ছোটা দিন ফেলে এসেছি।
হাটু জলে আর পদ্দ তোলা হয়না, বিকেলের শিমুল ফুল খোলা আকাশে উড়ে না
উড়ে না বিহঙ্গের ঝাঁক। শুধু দু-একটি পাখি এখনো আকাশে উড়ে
দুই শালিক হাড়িয়ে গেছে, হাড়িয়ে গেছে মাঠভরা তিল
তবুও পথের যেন শেষ নেই,সেই কবে ফেলে এসেছি ছেলেবেলার দূরন্ত বিকেল
প্রেমকাটা ফুলের খোঁচা,বাল্য বন্ধুর সংস্পর্ষ।
শালকী, তোমাকে শেষবার দেখেছিলাম তেরোর কিশোরী বয়সে
তুমি যখন মুক্ত বায়ুতে খোলা হাওয়ায় বেড়ে উঠছিলে।
এখন তোমার চুলে খয়েরী রং সমস্ত শরীরে বয়সের ছাপ
আমার চোখে এখনো তুমি তেরোর কিশোরী হয়ে আছো।
এক শূন্যতার সাগর পাড়ি দিয়ে ঘুরে ফিরি পৃথীবীর প্রান্তরে প্রান্তরে
ছুয়েছি নিঃসঙ্গতার আকাশ! বৃষ্টির সুর
আমার চলা আজো শেষ হয়নি, শেষ হয়না পথের দূরত্ব।