মেয়েটি বেশ ছোটখাট;
কোনদিন যদি তাকে জড়িয়ে ধরি এই বুকে
বুক তার চিবুকের স্পর্শ পাবে-সরাসরিই।
তার গায়ের রংটা কেমন
বলতে পারছি না ঠিক
পবিত্র শাদার মধ্যে সাঁঝের
মায়া মিশিয়ে তো দেখা হয় নি কোনদিন।
চোখদুটোও তার সেইভাবে দেখা হয় নি-কখনো।
হবে হয়তো একটা মেয়ে টুনটুনি পাখির
একলা সংসার সেখানে।
টুনটুনিটি রোজ মেয়েটির চোখের
মণিটি দিয়ে বেরোয় আর ঢোকে-
ঢোকে মেয়েটির হৃৎপ্রকোষ্ঠের
অন্তর্ভাগে!
পৌঁছে দেয় কোন সুপুরুষ টুনটুনির খোঁজ
সেখানে-সেই গভীরে!
মেয়েটি নিজের হৃৎপিন্ডের খবর নেবার
সময় নেই
টোনার সর্দিজ্বর তাই শুধু বিম্বিসারের
ধূসর জগত!
বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্টে
টোনার আইঢাই মেয়েটির কাছে বাতুলতার
বাড়াবাড়ি!
মেয়েটি ব্যস্ত,
বড্ড ভীষণ ব্যস্ত!
তার সারা দিনমান কেটে যায়-
কালো কাপড়ের ওপর যন্ত্রণার যথার্থ
প্রয়োগ দক্ষতায়,
কেটে যায় দেহের সবচেয়ে রাগী অঙ্গটির
মর্জি মাফিক চলার চেষ্টায়;
একটু দেরি হলেই যেকিনা ধরিয়ে দেয় আগুন
-সমস্ত পেটে।
বিজ্ঞান যদিও বলে বিভবের স্থানান্তর
সর্বদাই উচ্চ হতে নিম্নদিকে
সমাজ তেমনটা মানে না!
সমাজের মেনে চলে সমান্তরলতার
শ্রেণী সূত্র!
তাই-
স্টার গার্মেন্টেসের মন্দিরা,
পরেরবার বিপণিবিতানের নিচতলার
অভিজাত ফ্যাশন হাউস গুলো থেকে
যে কালো পাঞ্জাবীটি আমি কিনব
কেবল সেখানে-
কেবল সেখানেই
সেই পাঞ্জাবীর বুকের বোতামের
চারপাশের সুনিপুণ কারুকাজেই
একমাত্র তোমার ছোঁয়া পাব।
যদি অন্যভাবে পেতে চাই তোমার ছোয়াঁ
তবে বিভবের পার্থক্য ঠেকাতে সমাজ
নামক অন্তরক তো আছেই।
"কাসু "