দুঃখের কোন রঙ নেই ভাগ্যিস;
থাকলে আমরা সবাই হতাম
এক একটা সং।
দুঃখ যদি সবুজ হত
দেহ ভরে যেত ক্লোরফিলে;
তারপর রোদের আলোয় তৈরী করত
দুঃখ দুঃখ খাবার।
আমরা কেবল দুঃখ খেতাম;
নিজস্ব শরীরের উৎপাদিত সুস্বাদু সব দুঃখ!
যদি দুঃখ হত লাল
আমরা সবাই হতাম একএকটা টমেটো;
টসটসে লাল টমেটো।
গায়ে হাত বুলিয়ে কেউ কেউ হয়তো
কোমল কন্ঠে জিজ্ঞেস করত-"ওজন কদ্দূর?"
আমরা সৌজন্যতার হাসি হেসে বলতাম-
"আপনার কেমন? ওজন বাড়ল না কমল? "
দুঃখ যদি ধূসর হত-
আমরা সবাই হতাম একএকটা বর্ষাকাশের মেঘ! আকাশজলে ভেজাতাম না নিজেদের আর;
দুঃখকেই বলতাম-"ভেজাও! "
দুঃখ বলত-"তথাস্তু!"
যদি দুঃখ খয়েরি হত
আমরা সবাই হতাম একএকটি প্রজাপতি;
খয়েরি প্রজাপতি।
ফুলে ফুলে উড়তাম না আর
উড়তাম কোন একপ্রজাপত্নীর খোঁজে-
খয়েরি প্রজাপত্নী -দুঃখ প্রজার পত্নী!
দুঃখের কোন রং নেই বলেই
আমরা এতটা ঐশ্বর্যবান।
সার্কাসের সংদের অভিনয় দেখে আমরা
হাসি বুকের ঢোলা উজাড় করে।
তবে আমরা প্রত্যেকেই যে কত
বড় বড় সং সে কেবল আমরাই জানি।
"কাসু "
উৎসর্গঃলালিকে!