দেবি প্রপন্নার্তিহরে প্রসীদ
প্রসীদ মাতর্জগতোহখিলস্য।
প্রসীদ বিশ্বেশ্বরী পাহি বিশ্বং
ত্বমীশ্বরী দেবি চরাচরস্য।।

আজ দেবি চলে গেলেন। বিশ্ব-সংসার কে আনন্দধারায় প্লাবিত করলেন। এক অপূর্ব বার্তা দিলেন। চরাচরের অধীশ্বরী নিখিলবিশ্বজননী বিশ্বেশ্বরী জগৎ কল্যাণে প্রসন্ন হলেন।



উঠলো জোয়ার, বই লো বাতাস;
রঙীন পৃথিবী! হাসছে আকাশ।

সাজছে সবাই সাধ্য মতো।
শিখছে শিশু কি সুন্দর;
শিখছি আমি নিজের মতো!

নাও ছিনিয়ে সুখের ডালি;
নিজের ঘরে আনো তুলি।

আনছি শেখা নিজের ভুলে।
অ-পরা পরা শিক্ষা ছাড়া ও;
ভুল কি শেখায় নিজের কুলে?

নিজের বাড়ি যাবই চলি;
তবু ও কেবল আমার বলি!
বলছি যেটুক সমুখ জনে,
হৃদয় বলে অন্য কথা, অন্য মানে।

পূজো আনন্দে থাকুক জীবন;
দেবী মা তাই শেখাতে এল।
মায়ের মুখের হাসি মেখে;
যে যার নিজ কর্মে চল।

অপর মুখের হাসি তোমার;
নিজের হৃদয় থাকুক জুড়ে।
বিজয়ার এই মিলন মেলা,
পূণ্য হাওয়ায় কেবল ওড়ে!

মা বোন দের সিঁদুর খেলা;
দাও রাঙিয়ে মনের সিঁথি।
তুমিই তো মা বিশ্বেশ্বরী!
সারা বছর তোমার-ই প্রীতি।

অসুর যত আছে যেথা,
থাকবে তারা পায়ের নিচে।
হাসি তোমার পড়ুক ঝরে;
আমরা আছি তোমার পিছে।

মিষ্টি মুখে মিষ্টি মেয়ে;
ফিরছে উমা নিজের ঘরে।
ঠিক সময় আবার মা তুই,
জানি ঠিক তুই আসবি ফিরে।

সর্বভূতা যদা দেবী স্বর্গমুক্তিপ্রদায়িনী।
ত্বং স্তুতা স্তুতয়ে কা বা ভবন্তু পরমোক্তয়ঃ।।

*** *** ***শুভ বিজয়া দশমী*** *** ***