লাভ বলো! কি আর হবে!
তাই যাব না ছেলের বিয়ে।
আদর মাখা তোমার ছেলে।

থাক না জেগে চাঁদের মতো;
সুখের স্মৃতি! তোমার কোলে-
আমার মাথা।
অনেক আগে----; তোমার বিয়ের,
সানাই বাজা ছাদ না তলে।

তোমার জন্য সে এক ছেলে;
জোগাড় ছিল তোমার বাবার।
মিটলো না সাধ জামাই হওয়া, বাবার তোমার!

তখন ছিলাম বখাটে ছেলে,
ডিগ্রি পাওয়া যুবক বেকার;
হারিয়ে গেল তুমি আমার
ছাদ না তলে চাঁদের আলোয়--
হারিয়ে গেল-- আমি তোমার!

হারিয়ে গেছে তোমার স্বামী; চাঁদের দেশে!
বিয়ের পর কেটেছে ভালো তিনটে বছর।
শুনতে পেলাম বন্ধু মুখে!


তারার দেশে হারিয়ে গেল!
ছমাস ছেলের মুখটি দেখে।
একলা তুমি বাঁচলে শেষে;
না আমি; না স্বামী-- সেই বরের বেশে!
খবর দিলে আবার আমায়; হয়তো কিছু স্মৃতির    
                                                            সুখে!



আমার তখন  বছর দুয়েক চাকরি বয়েস!
আবছা স্মৃতি; ছিলাম ভালো।
বলব কি বা? গেলাম না তাই ।

খবর পেলাম বন্ধু হাতে বছর ঘুরে;
ধরবে এবার আমার দুহাত। শক্ত করে।
হু হু কাঁপন লাগলো বুকে-- বুকের মাঝে জড়িয়ে রাখা সুখের স্মৃতি---!এক নিমেষেই মোচড় দিয়ে;
অস্ফুট স্বর কাঁপন আনে নানান সুরে! না-না সুরে।

আজ ও আমি একলা আছি;
তোমার আমি একলা ভীষণ; অনেক দূরে!
দিব্যি আছি মোচড়ানো মন খোলা হাওয়ায় ভাসিয়ে
                                                                   দিয়ে।