মন এক।
ওল্টায় পাল্টায়।
মালতী-রা জাগে রাত;
আকাশেতে চাঁদ জ্বলে উঠলে।
দেহে খান ওঠে বেঁচে-
মন যদি গলে যায়;
ভরা বুক পেলে ছোঁওয়া,
ওঠে যেন উথলে।
মালতী-রা দেহ বেচে-
আকাশে শশী বাবু জাগলে!
বুড়ো বাপ খক খক।
সারারাত।
দেহ বেচা শরীরের; পথ্যি ।
শাক ভাত।
রোগ শুধু যায় বেড়ে বারবার;
আদরের মালতী, আদরের বাপ তার!
দেহ বেচে ফুল কেনে মালতী।
মন্দিরে সেই ফুল রোজ আসে সকালে।
দেহ বেচা মালতী! শুদ্ধ?
সূর্য্যি সকালে হাসলে।
ফুল সাজে মন্দিরে ভগবান;
মাল তীর বুক ভরা অভিমান।
সারাদিন মালতী সুবাসে।
সুবাসিত মন্দির ভগবান।
মন এক ওল্টায় পাল্টায়।
শশী বাবু জাগলে!
লিকারের গন্ধে,
দেহ, মনে থাকে নাকো মালতী।
দেহ বেচা উপাদানে--
মন্দিরে; দু বেলা আরতি!
মন্দিরে পড়ে থাকে মন তার।
খুক কাশি সারা রাত। বাপ-টার!
জোয়ারের টানে বুক;
ভাটা পড়ে বুকে তার-
বুড়ো বাপ;মন্দির-
ভেসে ওঠে বারবার!
শাক ভাত বাপ-টার পথ্যি!
বাসি মালা দেবে ফেলে সকালে!
আর ও চাই---
সাজবে ভগবান। সকালে।
কি যে নেশা!
ভগবান, মাল তীর।
তাজা ফুল ভগবান পরলে।
দেহ মন শুদ্ধ। সকালে।
ভগবান হাসি মুখ রাতদিন।
মাল তীর প্রেম কি জ্যোতি হীন!
টেনে টুনে চলে যায় সংসার;
কাল চলে; আজকের রোজগার।
মালতী-রা ফুল কেনে সকালে।
মালতী-রা বাড়ি ফেরে, সূর্য্যি হাসলে।
ভোর রাতে ওষুধের দোকানে;
দেহ দেখে মাল-তীর চোখে ঘুম।
বিড় বিড় বকে চলে দোকানি।
সারা পাড়া এখনও নিঃঝুম!
বাড়ি ফিরে করে স্নান শুদ্ধ।
মন্দিরে মাল-তীর যুদ্ধ!
দেহ বেচা ফুলে সাজে ভগবান!
মাল তীর ঝরা জলে; ভগবান করে স্নান।
মনে মনে মাল তীর যুদ্ধ
ভগবান মুখে হাসি, মনে ম্লান?
কে জানে কত পাপ মালতী।
দেহ বেচা উপাদান শুদ্ধ। আরতি।
প্রতিদিন ভরে ওঠে এ্যালবামে।
আবদার মেটাতে আর-তীর। ঝরে, ঘাম!
ভেবে সারা দিশেহারা মালতী।
খুক কাশি; ভগবান আ-র-তী!