ছুঁঃ মন্তর।
দেব ছুঁয়ে!
এ---ই আমাকে বাসবি ভালো ?

থর এর ভাজা বালুর উপর--
এক ফোঁটা জল---
ঝমঝমিয়ে ঝরে পড়া চেরাপুঞ্জি মেঘের ভিতর-- এক ফালি রোদ---
হয়তো বা বুক চিরে দিয়ে-
ছুঁয়েছিল হৃদয় খানি।
আদুল গায়ে, তখন আমি বড্ড ছোট্ট!
চাঁদের বুড়ির গল্প শুনি।

তখন আমি বড্ড ছোট্ট-
শিশির পড়া পদ্ম কলি।
শুনেছিলাম, মনে আছে-
মা আমার বলছে বাবায়;
একটা চাপা দুঃখ চোখে, ফ্রক আনবে।
মেয়েটা হচ্ছে বড় তাড়াতাড়ি;
সামনে মাসে হাটের থেকে।
দুর্গা দুর্গা, তাড়াতাড়ি ফিরো বাড়ি।

সামনে মাসে হয়নি কেনা;
বাজারে আছে অল্প দেনা।
আর ও দু মাস হারিয়ে গেল-
হারায় নি সেই কথা খানা।
সেই কথাটা বুকের ভেতর-
মোচড় হানে সর্ব ক্ষনে!
যত্ত আমি হচ্ছি বড়ো,
কমছে আশা! প্রাণে মনে।


অনেক বছর হারিয়ে গেল;
ফ্রক আমার হারিয়ে গেছে!
আমার এখন একটা শাড়ি,
সেই কথাটা ডাকছে মিছে।
'বাসবি ভালো' 
কেউ বলেনি আর কখনও-
খুঁজে বেড়াই সবার চোখে;
পরাণ খোঁজে সেই সে তাকে।

কেউ বলেনি আর কখনও!
রোজই ভাবি;
মহাদেবের জটা বেয়ে-
গঙ্গা বারি আসবে ধেয়ে।
ভিজিয়ে দেবে সারা শরীর,
কোন সুদূরে ভাসিয়ে দেবে---
হারিয়ে যাবে বুকের ভিতর;
ছুঁয়ে দেবে; উথাল পাথাল শান্ত হবে!

হৃদয় জুড়ে স্বপ্ন দেখি
সেই কথাটা সেই ভাষাটা
সেই আবেগে
আদর করে তেমন সুরে
অন্তঃপুরে লুকিয়ে থাকা
লুকিয়ে রাখা যতন করে পরাণ ভরে
উঠছে ফুটে গহীন কালো আকাশ চিরে
ছুঃ মণ্তর!

পূর্ব দিকের ভোরের বেলায় আকাশ চিরে
সেই হাসিটা আবছা স্মৃতি
সেই কথাটা
সদ্য ফোটা শিউলি ফুলের বোঁটা খানি
রং টি ধরে
আসে না আর
মিশর দেশের প্রথম মমি জ্যান্ত হয়ে
দেব ছুঁয়ে।

সেই কথাটি ছুঁয়েছে আমার হৃদয় খানি।
কি জানি কোন পথটি আমার,
ভেবেছিল মন
সে সব কথা শুনবে আবার।
সব ভাষা যে আছে থেমে,
হিম ঝরা রাত নেয়ে ঘেমে,
অনেক কথা শুনবে তুমি;
সেই কথাটা শুনতে যে চাই তোমার আমি ।