আমি যখন জন্ম নিলাম,
সদ্য তিরিশ বাবা তখন।
শুনেছি আমি মায়ের কাছে,
জানিনা বড় হলাম কখন?
আজকে বাবা সদ্যোজাত,
বাবা র বয়স নয়ের কোঠায়।
আমি এখন বছর ষাটেক,
বাবাকে দেখার সময় না পাই।
বাবার থেকে অনেক দূরে----
মেয়ে আমি, অন্য ঘরে।
আমার কাছে থাকবে বাবা-
মত কারো নেই আমার ঘরে।
করি কি আমি না পাই ভেবে ,
দোষ দিই এই ভাগ্য টাকে-
কেন আমি হলাম মেয়ে,
কাঁদিই শুধু সময় ফাঁকে।
আমার ঘরে ও আছেন বাবা,
যত্ন-আত্তি সব-ই করি।
সেই বাবাটা খুঁজে না পাই-
নিজের মনেই গুমরে মরি।
স্বামীর বাবাই , আমার বাবা,
শেখা লো বাবা বিয়ের পর।
এই বাবাটা বুঝ লো নাক,
বাবা আছে--- আগের ঘর!
আজকে বাবা সদ্যোজাত,
বাবা এখন নয়ের কোঠায়-
বাবার কাছে আজ নেই কেউ,
আপণ মানুষ , তার কাছে নাই।
বছর দশেক একলা বাবা ;
মা তো গেছে স্বর্গলোকে।
কাজের মেয়ে, কাজ করে দেয়--
বাবা না-কি পরম সুখে।
ফোনে বাবা বলে আমায়,
আমি মা বেশ আছি ভালো।
হৃদয় আমার মুচড়ে ওঠে--
অন্ধকারেও দেখি আলো।
বাবা এখন স্পষ্ট করে
দেখতে বা শুনতে না পাই;
বাবা এখন সদ্যোজাত ।
কেমন করে বোঝাই কারে ,
মেয়ের বুকের গভীর ক্ষত।