জলকনা নামের সেই মেয়েটি
বড় হয়ে গেল করে পা হাঁটি হাঁটি
সময় দ্রুত পলায়ণ করে যায়
জলকনাকে বড় করে দিয়ে যায়।
হেঁটে হেঁটে গ্রামের ঐ মেঠো পথে
চড়ে অস্থির সময়ের নিঠুর রথে
স্কুল কলেজ পেরিয়ে জলকনা
শহরে পড়ার ইচ্ছেয় আঁকে আল্পনা।
পূরণ হয়ে গেল তার মনের বাসনা
বাবা মা তার বাঁধা হয়ে দাঁড়াল না
উড়াল দিল তার মন পাখি আকাশে
সুখের ছোঁয়া রইল তার চারপাশে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সবুজ জলকনা
বুকে তার স্বপ্নের কত শত আল্পনা
মুছে দেবে সে বাবা মায়ের সব যন্ত্রণা
থাকবে না আর তাদের কোনো বেদনা।
কিন্তু হায় সহসা ঝড় নেমে এলো জীবনে
জলকনা এলোমেলো হলো মনে প্রাণে
বেঁচে থাকা হয়ে গেল তার কাছে দায়ভার
হায়েনারা পালাক্রমে ধ্বংসিছে জীবন তার।
মানুষরুপী শকুনের দল সন্ধ্যের অবকাশে
জলকনার দেহটাকে ছিঁড়ে ফেলে নিমেষে
ধর্ষিত জীবন নিয়ে বেঁচে থাকবে কি আশে
হায় আত্নঘাতি হলো জলকনা অবশেষে ।
শেষ হয়ে গেল সবকিছু সব স্বপ্ন প্রত্যাশা
ঝরে বাবা মা'র আঁখিজল বুকেতে হতাশা
কুলাঙ্গারেরা বুঝবে কি কিছু এই বেদনার
শুধু কেড়ে নিতে পারে জীবন শত জলকনার।
১৪/১০/২০২০