বৈশাখ আসে, বাঙালি নাচে বৈশাখী আনন্দে
চারিদিক মাতোয়ারা,স্ফূর্তির ফোয়ারা।
আনন্দ-উন্মত্ততা উদ্ভূত হয় কিভাবে বুঝিনা
আমি অবুঝ। বৈশাখ -জৈষ্ঠ কিম্বা অন্যকিছু চাই না
উদরে ক্ষুধা, বৈশাখ নয়-কিছু খাদ্য চাই।
দেখ সারি সারি জনতার লাইন। ন্যায্য মূল্যের দোকান
হাতছানি দিয়ে ডেকে বলে এসো সব ক্ষুধাতুর।
বৈশাখী মেলা চিত্তে ফূর্তি জোগায় না আর,
বৈশাখ আসুক,যাক-আনন্দ ছড়াক। আমরা তা চাই না
সারা দেশটাই হোক ন্যায্য মূল্যের দোকান,এখন এটাই চাই।
কত শ্রমিকের ঘাম,ঝরে পরে অবিরাম। যেন বৃষ্টির ধারা।
শ্রমের মূল্যে তবু জোটেনা কপালে চাল-ডাল
দেখা যায় ছোঁয়া যায় না,খাদ্য দ্রব্য যেন অধরা
অনাহারে কেউ কেউ শুধু কাঁদে, আল্লাহ্ কে ডাকে।
বৈশাখ কখন এলো,আনন্দ ছড়িয়ে কখন গেল আবার
এসব খোঁজ রাখা হয় না অভুক্ত বৃদ্ধা সালেহা’র।
আমরাও অভুক্ত। রোজ ঠাঁই নিচ্ছি সালেহার দলে।
প্রতিদিন সদস্য বৃদ্ধিতে হচ্ছে জন সমুদ্রের আকার।
আমরা ইলিশ-পান্তা খাওয়ার যোগ্যতা রাখিনা,
পান্তাই জোটে না; ইলিশ তো ছাড়,বেঁচে থাকাই দায়ভার।
এমন বৈশাখ আসুক বাংলার ঘরে ঘরে
যে বৈশাখী আনন্দ দোলা দেবে সবার বুকেতে,
ব্যবধান ঘুচে যাবে সব ধনী আর গরিবের
স্বপ্নের বৈশাখ কবে আসবে সবার মুখে হাসি ফোটাতে!
ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশে স্বপ্নপূরণের বৈশাখ দেখতে চাই।