জীবনের হাজারো চাহিদার ভীরে কালের বিবর্তনে
নিজের চাহিদার সাথে যুক্ত হয় অনেক কিছু।
অন্যের চাহিদা পুরনের দায়িত্ব এসে পড়ে পুরুষের কাঁধে
মনের চাহিদা পুরনের একজন সংগ্রামি সেবিকের নাম পুরুষ।
সত্যিই আমরা এ সমাজে একটা পুরুষ বটে।
আসে বাবার অবর্তমানে মাকে লালনের ভার
আসে জীবন সঙ্গী, যুক্ত হয় সন্তান।
পরিবারের হাজারও চাহিদার ভীরে ভুলে যায়
নিজেরও একটা চাহিদা ছিলো।
তেল নেই, চাল নেই, ডাল নেই, পোষাক নেই
এতসব নেই এর মাঝে নিজের চাহিদাটাও আজ নেই।
নিজের চাহিদা জলাঞ্জলি দিয়ে
পরিবারকে টিকে রাখার লড়াইয়ে নেমেছে যে পুরুষ
তার চাহিদাটা কথায়, বলতে পারো হে নারী?
যে নিজের পায়ের স্যান্ডেল না কিনে সন্তানের জুতা কিনে
যে পুরুষ শার্ট প্যান্ট না কিনে স্ত্রীর শরির বন্ধনী কিনে হাজারও দোকান ঘুরে।
যে পুরুষ বাবা মার মুখে হাসি ফোটাতে সুখি হবার নাটক করে।
সেকি কখনো পুরুষ ছিল?
যদি প্রকৃতির নিয়মে পরিবারের দায়িত্ব ভার না আসতো
তাহলে হয়তো পুরুষ হওয়া হতো না।
অর্থ কড়িকে কোন পুরুষ প্রাধান্য দেয়নি, স্বাক্ষি এ সভ্যতা
হাজারও চাহিদা পুরুষকে অর্থের দিকে টেনেছে, প্রমাণ?
এ সমাজের বাস্তবতা।
শুধু স্বপ্ন পুরনেই নিজেদের মাথার চুল টেনেছে হাজারও পুরুষ
আকাশের সিমানা পেরিয়ে, দিগন্ত জোড়া ধু ধু প্রান্তর একজন পুরুষ যেভাবে দেখেছে, তা গোটা পৃথিবীর কোন নারীই দেখেনি।
নারী তুমি কি পুরুষ ভাবো?
আচ্ছা, তুমি দেখেছো কি বিষন্ব মনে হাসিমাখা পুরুষের ইচ্ছে পুরনের আশা। তুমি কি দেখেছো, নিজের ছায়া পেরিয়ে ছুটে চলা পুরুষের গগণ সুর্যটা কথায় ছিল। তুমি দেখেছো কি হাজারও চাহিদার উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে সুমদ্র কতটা শান্ত ছিলো। দেখোনি তো!
দেখনি বলেই পুরুষকে শুধু পুরুষই ভেবে গেলে, সংগ্রামী প্রেমীক ভাবতে পারনি।
তবুও হাল ছাড়েনি।
পথ, ঘাট, মাঠ, প্রান্তরে, দুচোখে অশ্রু ঝড়ে, মাথাও ধরে।
হ্যাঁ। এরাই পৃরুষ। ভেবেছো কি? ভাবনি।
শুধু পুরুষই ভেবেছে পৌরষে। আবিস্কার করেছে তোমরাই নারী।
তোমাদের কে বুঝতে পেরেছে ঠিকই, চিনতে পারেনি বলে আজও ভাবনার সাগরে ডুব দিয়ে স্নান করে হাজারও পুরুষ।