এখন আর খুব একটা কবিতা লিখতে পারিনা,
তবে দেখি, আগ্রহ নিয়ে দেখি ।
অনেকটা জহুরিদের মত খুঁতরে খুঁতরে দেখা বলে যাকে ।
প্রকাশ্য দিবালোকে দিব্যদৃষ্টিতে কবিতার অবয়ব দেখি,
অর্ধস্ফুট আর্তনাদ শুনি কবিতার সৎকারে ।
কে বলেছে কবিতা হাসে না-
কে বলেছে কবিতা অথই সাগরে ভাসে না ?
আমি তো রোজ দেখি-
হাসতে দেখি, কাঁদতে দেখি, বিলাপ করতে দেখি,
সুরাসক্তের মত টলমল পায়ে চলে যেতেও দেখি ।
কুজ্ঝটিকার মাঝে ঝাপসা অবয়ব, এমন কি-
মাঝে মাঝে পোষ্টমটেম রিপোর্ট পর্যন্ত ।।
এখন আর খুব একটা কবিতা লিখতে পারিনা,
তবে দেখি, আগ্রহ নিয়ে দেখি ।
বিষণ্ণ বিকেল গুলো যখন-
অতি গোপনে হৃদয় অর্ণবে ডানা ঝাপটায়
তখন বোনারপাড়া জংশনে এসে-
অনেকটা জড়পদার্থের মত ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি ।
বাসার পাশেই তো, অবাক চোখে তাকাই-
বীরদর্পে হুইসেল বাঁজিয়ে আন্তনগর ট্রেন আসে
চোখের সামনে অজস্র কবিতার ওঠানামা দেখি ।
অনেক কবিতারা স্বপ্নের শবদাহ সেরে ট্রেন থেকে নামে
অনেক কবিতারা ট্রেনে আরোহণ করে উদিয়মান সূর্য হয়ে ।
আন্তনগর ট্রেনটা কিন্তু কোন স্বপ্নের ধার ধারে না ।।
এখন আর খুব একটা কবিতা লিখতে পারিনা,
আঁখি পল্লবে চিনচিনে ব্যথা নিয়ে ধূসর তাকিয়ে থাকি মাত্র ।
এক একটা অদৃশ্য বার্তা এক একটা মহা কাব্য যেন-
রঙচঙে মলাটের বইয়ে নয়, অতি গোপন পুস্তকের পাতায় পাতায়
আমার কবিতারা বিধ্বংসী সভ্যতার হাত ধরে
নতুন সভ্যতা খুঁজতে যায়-
উফ! জ্যোৎস্না স্নানের বড় নিদারুণ অতৃপ্ত বাসনা বুকে ।।