তোর জন্য, তোর জন্য বন্য শহরটাকে
আজ অন্যরকম দেখি;
পূতি-ডাস্টবিনের পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
অপেক্ষার বিকেলগুলো মধুময় করে রাখি ।
অভিমন্য, তোর জন্য, শুধু তোর জন্য ।।
তোর জন্য ট্রামের হুইসেলকে মনে হয়
রাখালী বাঁশির সুর;
মাথার উপর নিত্য নতুন আকাশ ভাঙ্গি
কখনো ঘোর বর্ষায়, কখনো চৈত্র দুপুর ।
অভিমন্য, তোর জন্য, শুধু তোর জন্য ।।
তোর জন্য এই অগোছালো মেয়েটি এখন
পরিপাটি করে সাজে;
টুকটাক শব্দে তন্দ্রা কেটে যায় বারবার
ধরফড় জেগে উঠি, ফোনটা কি বাজে ?
অভিমন্য, তোর জন্য, শুধু তোর জন্য ।।
তোর জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া লেখা
শিকায় রেখেছি তুলে;
মায়ের বারণ, অগ্নি-চোখে বাবার শাসন
সশব্দে বিস্ফোরণে দু‘পায়ে গিয়েছি ডলে ।
অভিমন্য, তোর জন্য, শুধু তোর জন্য ।।
তোর জন্য, দু‘চোখে রোজ-ই বর্ষা নামে
বৃষ্টি ঝরে অহরহ;
তোরও কি জ্বলে দগ্ধচিতা বুকের ঘরে
আকাশ ভাঙ্গে, আমার মতো তুমুল ঝড়ে
উত্তর জানিস, কীকরে ওদের করব দাহ ?
অভিমন্য, তোর জন্য, আজ আমি অন্য ।।