দুইশো ক্রোশ পথ পাড়ি দিয়ে
ক্লান্তি ভরা শরীর নিয়ে
পৌঁছে ছিলাম আমি গিয়ে
তোমার বলা ঠিকানায়।
হঠাৎ করেই সব ক্লান্তি
দূর হয়ে গেলো এক নিমেষেই
যখন তোমার সামনে গিয়ে
দেখিতে পাইলাম তোমায়।
হাজারো সব মানুষের ভিড়েই
চিনে নিয়েছিলাম আমি অচিরেই
প্রথম বার যখন পড়েছিল
চোখ আমার তোমার চেহারায়।
ভেবে নিয়েছিলাম আমি সেই দিনই
তুমি মোর অপরূপা শামাঙ্গিনিই
হইবে আমার অর্ধাঙ্গিনী
আসিবে তুমি বধূর সাজে আমার ঠিকানায়।
তোমার দর্শনে চেহারার সৈর্গিক সৌন্দর্যে
আমি যখন হয়েছিলাম আত্মহারা
তখন তোমার মধুর কণ্ঠে তুমি
আমায় করেছিলে পাগলপারা।
চন্দ্রের ন্যায় স্নিগ্ধ তুমি
বৃষ্টির ফোঁটার ন্যায় শীতল
তোমার প্রেমের প্রেম সাগরের
পায়নি খুঁজিয়া আমি তল।
গভীরতা না জানিয়া
দিয়েছিলাম ডুব
তোমার হাতের নরম স্পর্শে
খুঁজে পেয়েছিলাম এক চরম সুখ।
গল্পের মাঝে ছন্দের মাঝে
লুকিয়ে লুকিয়ে আমি যেনো
মুক্তা ঝরা হাসি তে তোমার
হৃদয় ছোঁয়া স্বাদ অনুভব করেছিলাম
সেকথা রয়েছে আজও তোমার অজানা।
সুন্দর সেই মুহূর্ত গুলি
কাটিয়ে আমি যখন ফিরিতে ছিলাম
বাড়ি দিয়ে ছিলাম পাড়ি
তোমার দুই অশ্রুসিক্ত নয়নের জল
দুচোখে দেখা আমার সব চেয়ে কষ্টের মুহূর্ত।
আজ নয় কাল ঠিক ই যাবো আমি
তোমার ঠিকানায়
দুচোখ জুড়াইয়া অপেক্ষায় তুমি রবে
জানি না হে প্রিয়া মিলনের বেলা
আবার কবে আসিবে।
জানে শুধু প্রভু মোদের দুজনা
আবার কবে দেখা হবে।
( সংক্ষিপ্ত)।