আবার দাঁড়াবো ফিরে জানি,
জনারণ্যে, কোনো বৃক্ষমূলে,
বটের ঝুরির মতো গাঁথব আঙুলে,
জড়িয়ে ফেলব পাকে পাকে,
সজল কাহিনি এক শোনাব তোমাকে,
যে কাহিনি তোমার, আমার, আমাদের,
তবু তা বলেনি কেউ বলার মতন করে আজও।
নাকি বলেছিল?
কেউ কি বলেনি কোনখানে, কোনদিন?
কোথায়, কখন পৃথিবীর কোন্ বেদনাকুহকে
ঊর্ণজালে ঢেকে গেল কার নাম পাথরফলকে,
কার নামে আজ তুমি খোঁজো আশ্রয়?
কেউ কি বলেনি?
মরা নদী, গিরিখাতে একদিন বয়ে যেত জল
আমাদের মন ছুঁয়ে ছিল চলাচল,
তার স্রোতে একদিন ডেকেছিল বান
সে তবে কিসের আহ্বান?
ডুবতে, ডুবতে আর ভাসতে, ভাসতে
পাওয়া হয়নি কি এক অদেখা পথের সন্ধান?
কেউ কি বলেনি?
কোথায়, কখন, কোন্ ফাঁকে
আমাদের ঠাঁই হ'ল উদ্যত অভ্রমিনারে,
আর ঐ চুড়ো থেকে পলিমাটি, পিতেমোর ভিটে
করুণার চোখে যারা দেখেছিল একলা, নিভৃতে
তারা আমাদেরি সন্তান।
কেউ কি বলেনি একবারও?
গাছ হয়ে বেড়ে ওঠো, ফুল দাও, ফল দাও, আর
মাটির গভীরে বাড়ো, বেড়ে ওঠো শিকড়ে ও জলে,
বেড়ে ওঠো আড়ে-দিঘে, একা নয়, অরণ্যদলে।
বুকে শ্বাস ভরে নাও, ঢালো প্রাণ আরো,
বাড়ো যদি, এভাবেই বাড়ো।
আবার দাঁড়াবো ফিরে তাই,
জনারণ্যে, কোনো বৃক্ষমূলে, সুস্থায়ী।