এই যে শুনুন—একটু সময় হবে?
ওস্তাদ—আপনাকেই বলছি— একটু নড়েচড়ে বসুন।
মস্কিষ্কের কোষে,চাপ পড়তে পারে।
তাই বিষাদের ঝঞ্জাবাতে,ডোবার আগে—একটু নড়েচড়ে বসুন!
সেদিন,প্রভঞ্জনের রাতে;
ছোট সাহেবের মেয়ে— 'বলাৎকারের অপমানে উদ্বন্ধনে মারা গিয়েছে'!
তো সে সমাজে—কবিদের দায়বদ্ধতা কতটুকু?
আপনিও তো—সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন কেউ নন।
শুনেছি,আপনাদের হুকুম ছাড়া— আখ্যায়িকার একটা পদও; আন্দোলিত হয়না!
সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের নিয়ে— 'আর্ট ফর ড্রিম'
শিরোনামে নির্বাহ ধারণ কোরা হয় দিনব্যাপী,
শুধু  সুপ্ত অবস্থায় অনুভব হয়ে উঠেনা—
বিস্তৃত ঘোড়ার প্রত্যক্ষবৎ।

আচ্ছা।
'বার্ধক্য যখন আপনার দিকে মন্থর গতিতে তেড়ে আসছে— আপনি অল্ড এজ হোমে থাকতে চাইবেন না?'
অর্থের হিসেবটা কিন্তু—
আগে থেকে বুঝে নেবেন দাদা।
বাসিমুখে জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে, 'যৌতুকের জন্যে এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যার সংবাদে আমাদের সকালটা হয় মসৃণ!'
বিক্ষোপ মিছিল করতে যেয়ে— গুম হওয়া ভাই ফেরার ;অপেক্ষায় আছে যে বোন—
সে বোন কি জানে—
রাখি বাঁধার সঠিক নিয়ম?ঠাকুমা বলতেন—
রাখি বাঁধার সময়,
নিয়ম মেনে চলতে হয়।
তাতে নাকি,কোনোদিন মুদ্রার;অভাব হবেনা ভাইয়ের।

যেখানে,ভৌগোলিক এলাকায়— 'মাত্র নব্বই দিনের শিশুটিও রেহাই পায়না নরপিশাচের হাত থেকে'
সেখানে,ন্যাক্কারজনক যোজনার প্রতিবাদে—
ব্রোথেলের দেবীরা একজোট হয়ে; বিনা মাসুলে যোগান দিবে বলে—
নিষ্পত্তি কোরেছে!
অথচ,শহরে একদিন;
ব্রোথেল উচ্ছেদ কোরতে— প্রচুরসংখ্যক ব্রহ্মচারী স্লোগান ধরে।
এতো দামী স্লোগানের বেশ ভক্তও জুটে যায়।

আজকাল কে না জানে?
কুকুর মানুষের বিশ্বস্ত বন্ধু।
তবুও,মানুষ অলিগলিতে— বেওয়ারিশ-কুকুর নিধনের;
দাবি নিয়ে আসে,
তো সে সমাজে কবিদের— দায়বদ্ধতা কতটুকু?
কবি—অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে! আর,আকাশের দিকে তাকিয়ে উচ্চারণ কোরে—
'মাছের মায়ের পুত্রশোক নিয়ে আর কতোদিন বেঁচে থাকা যায়'
ভাউতাবাজি রেখে বরং, হারাম পানীয় গিলে ঘুমোতে যা!