আমি এক অনবরত পর্যটনকারী ভিক্ষু,
যে কিনা বিবাগী হয়ে তোমার চোখে খুঁজে ফিরি—
নীল রুপসাগর।
সময়ের গেড়াকলে—
কতো দেবতাই না,তোমার প্রেম- মন্থনে কলহে জড়ায়;
হট্টগোল শেষে তীব্র কালকূট বিষের দাবিদার—
হয়েছি একমাত্র আমি।
অমৃতকুন্ড নিয়ে পালানোর দায়ে তোমার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি আজ,
মার্জনা পেলে পেতেও পারো— যদি মৃত প্রেমিককে বাঁচিয়ে তুলো সঞ্জীবনী শিখড়ে!
আমার অন্তঃআত্মা বিভাগের— শিকার উদ্বাস্তুরা মাথা গুঁজেছিলো তোমার কলোনিতে;
সঙ্গে ছিলো তোমার প্রশ্ন-“যাক না, উচ্ছন্নে যাক?”,ওরা ধ্বংস হোক-মরুক-কিংবা চুলোয় যাক!
আমিও ভুলে যাই পার্থিব বন্ধন,মুছে ফেলি মিথলজির পাহাড়,
তবে কখনো তুমি নামক গোলকধাঁধা থেকে বের হতে পারিনা।
একের পর এক আমার চুম্বকীয় শহরে আলপিনের মতো আটকে আসে আদিম আতঙ্ক,
আর তোমার শহরে নামে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর অনিষ্পন্ন মিছিল।
পরিপক্ব প্রাপ্তিতে স্মৃতির দাগেরা সাজে দহন সাজ,
তথাপি আমাদের বিয়োজন ব্যাপী দূরত্বের উপশম হয় কবে— তা হয়না অন্তরে আঁচ।