বক্ষঃস্থলের জবুথবু দাবি-প্রত্যাখানে,
যে মানুষটা মরে গেলো—
সে তোমার কামিজের সাথে- সেফটিপিনে আটকে দিয়েছিলো—
তাঁর অনুর্বর জীবন।

তুমি আসন্ন গ্রন্থমেলায়,
পাঠকের সামনে নিয়ে এসেছো—
বিচ্ছেদের প্রচ্ছদ।
সে প্র‍তি অন্ধিকায়,
খয়রাতী মনখারাপের নামে; মানত কোরে—রোজা রাখে!

ধারাস্নানের যন্ত্র পেরিয়ে,
মেঘের জল যখন —
তাঁর মাথায় ছুঁয়ালো হাত।
তখনই আকাশপথে উচ্চারিত হয়—
এক দৈববাণী;
‘তুমি মানে দুরারোগ্য ব্যাধি’!

ভোরের স্বপ্ন নিত্য হয় জেনে,
যে মানুষটা—ভোরে শুতে গিয়েছিলো!
একদিন সন্ধ্যাবেলা—
সে ভোরকে—যৌতুক দিতে অক্ষম পত্নী’র জিহ্বা ভেবে, কেটে দেয় পাষন্ড সোয়ামি!

তোমার জন্যে কাঁদলো যে আপোষে,
তাঁর ঘাড়েই গুপ্তঘাতকের মতো প্রশ্ন ধরো-খামচে!
“চোখে তাঁহার কোন নদীর জল”?
অথচ যতোদূর জানে— জনতা,
‘ভারত উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রশস্ত আর খরস্রোতা নদী তাঁরই দু’চোখ’!

তবে,গতানুগতিক কেউ জানলোনা—
যার মুখগহ্বরে-বিষয়তৃষ্ণা, শূণ্যের-ক্ষেত;
ষোলো দিন ধরে চাষ কোরা হয়।
তুমি ন্যায্যমূল্যে—তাঁর বুকে বাতিকগ্রস্ত-ফসল ফলানোর জন্যে,অনুনয় জানাও।

‘অন্তর্ঘাতের হতবাক শাস্ত্রে—
যে মানুষটা সবশেষে,স্নাতকোত্তর পেরিয়েছিলো!’
সে পাটনায় পৌঁছে,নিজের অস্থি—
গঙ্গায় ভাসিয়ে দিলো প্রমোদে!
পুরো পঞ্চমহাভূত,
ধুনকিতে ভাসলেও—ভাসেনি তোমার ঠোঁটের খামার।