আমি বিশ্বাস করি " In a relationship " স্টেটাসের বাইরে,
" Couple goals " এর পোস্টারের বাইরে,
সেলফি, প্রি ওয়েডিং ফটোশ্যুটের বাইরে
এক সীমাহীন ভালোবাসার জমি আছে।
জীবনে অনেক কিছু অ্যাচিভ করতে করতে
আমরা এই জমিটায় এসে
কখনো দাঁড়াতেই পারলাম না।
বড্ড আফসোস হয়।
জীবনে ছোট থেকে
অনেকে অনেক কিছু হতে চেয়েছে, পেতে চেয়েছে।
আমি ভালোবাসা হতে চেয়েছিলাম।
ভালোবাসাই পেতে চেয়েছিলাম।
খুব কম দাবী দাওয়া ছিলো।
উপহার বলতে হাতে আঁকা ছবি।
একটা চিঠি।
দু'জনে পয়সা জমিয়ে একটা সিনেমার টিকিট।
নিজের পয়সায় উপহার দেওয়া
একটা শঙ্খ ঘোষ বা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার বই।
মায়ের শাড়ি পরে
বারবার পেছন ফিরে চেয়ে দ্যাখা
" সে কি এলো? "।
তার হয়তো ভোরে ওঠা, ঘুম থেকে উঠে
বারবার দেখে নেওয়া কটা বাজলো।
ডেকে দিতে হবে তো!
তার জ্বর হলে মনটা খারাপ করে বসে থাকা।
কাছে থাকলে জলপট্টি দেওয়া।
মনটাও বলে উঠতো " আল্লাহ ভালো করে দাও "।
বাইক নেই তো কী হয়েছে!
সাইকেলে চেপেই রাস্তার পর রাস্তা ছুটে চলা।
মেলায় গেলে কাচের চুড়ির দোকানের সামনে
একটার পর একটা রঙ পাল্টে নেওয়া।
তার চোখের ইশারা যেখানে থামবে
সেইটাই ফাইনাল।
তারপর ঘুঘনী, বুড়ির সুতো।
প্রচন্ড বৃষ্টিতে ছাতা উড়িয়ে দিয়ে
চুপচুপে ভেজা।
সেইই প্রথম চুমু। প্রথম কাছে আসা।
একটা মিষ্টি, শান্ত, ঝিম ধরানো গন্ধ।
লজ্জায় চোখটা বুজে ফেলা।
আমি বিশ্বাস করতাম অপেক্ষায়।
বিশ্বাস করতাম সারা পৃথিবীর বিরুদ্ধে গিয়ে
শুধু তাকেই চেয়ে যাওয়ায়।
আমি বিশ্বাস করতাম উন্মাদ, পাগল প্রেমিককে
শুধু ভালোবাসি বলে ভালোবেসে যাওয়া যায়।
সারাজীবন বিয়ে না করেও
দুটো মানুষ ভালোবাসার জন্য
বেঁচে থাকতে পারে আজীবন।
আমি বিশ্বাস করতাম
একের পর এক বিয়ের প্রস্তাব নাকোচ করে দিয়ে
তার জন্য অপেক্ষা করায়।
আমি বিশ্বাস করতাম
সত্যি সত্যি ভালোবাসলে, খুব ভালোবাসলে
আর কাউকে ভালোবাসা যায় না।
আমি বিশ্বাস করতাম,
ভালোবাসা ছাড়া আমি আর কিচ্ছু চাইনি কখনো...