আশিক
এত তাড়াতাড়ি তুমি চলে গেলে ?
তোমাকে যে অনেক কথা বলার ছিল
তোমার সাথে আমার শাদী হবে
পাঞ্চনী হবে
দাওত হবে
কত মেহমান আসবে
তোমার নীল রঙের শেরোয়ানী
আব্বাজান নিজে পছন্দ করেছেন
কামরাঙা রঙের বেনারসিতে
আমায় কেমন লাগবে দেখার আগেই
তুমি ঘুমিয়ে পড়লে ?
শুনতে পাচ্ছ ফজরের নমাজ ?
ওঠো
তুমি তো সাচ্চা মুসলমান
পাঁচ ওয়াক্ত নমাজ না পড়লে
তোমার দিল ঠিক থাকে না
আল্লাহতায়ালা তোমায় এত জলদী ডাক দিলেন

দেখো আশিক
আসমানের সূর্য কেমন একটু একটু করে গরম হচ্ছে
কবরের নিচের থেকে শুনতে পাচ্ছ আমার কথা ?
অনুভব করছো আমার মহব্বত ?
মনে পড়ছে
হাতে হাত রেখে শেহরী শোনানোর দিন ?

তোমার আম্মীর বুকফাটা আর্তনাদে
মহল্লার মানুষ স্তব্ধ
শাদী আমাদের হবেই
দুনিয়াতে না হলেও
বেহেশতে হবেই
তুমি আমার জান
মেরে কলিজা
তোমাকে ছেড়ে আমি থাকবো কেমন করে  ?

দেখে নিও
তোমার কবরের পাশেই  আমি
কেমন চির নিদ্রায় শায়িত হই
আমরা চিরকাল এক ছিলাম
এক থাকবো

ঘুমাও আশিক ঘুমাও
নিশ্চিন্তে ঘুমাও
ফজর শেষ হয়ে জুহার নমাজের সময় হলো
এখনি সমস্ত মসজিদ গম গম করে উঠবে
আহ্লাহার ধ্বনিতে
তোমার হয়ে আমি দোয়া মেঙ্গে নেব
আজ চলি
কাল আবার আসবো তোমার কাছে
আদাব
খোদা হাফেজ ।।