‘নারী’

নারী তুমিই মানুষ, তুমিই তো নারী,
কি শোভমান তোমার দেহবল্লরী
হাতে চুড়ি, কপালে টিপ,
শাড়িতে কত অপরূপ , স্নিগ্ধ তুমি।
এলোচুল অথবা কবরীতে গোলাপে
কি মোহনীয় হয়ে ওঠ তুমি।
তোমার হাতের স্পর্শে সবকিছু হয় সুন্দর
যেন বাগানে ফুল ফোটে।
আলোয় হয় যেন স্বর্গপুরী।
তোমার হাতের স্পর্শে সবকিছু হয় সুন্দর
যেন বাগানে ফুল ফোটে।
আলোয় যেন হেসে ওঠে
তুমি হয়ে যাও মা, বোন, কন্যা, স্ত্রী।


মা, তোমার তুলনা তো তুমিই,
তুমি আছ বলেই পৃথিবীটা সুন্দর।
তোমার মধুর ছোঁয়া সব ভুলিয়ে দেয়.
তোমার শ্রম দেয় কাজের অনুপ্রেরণা।

বোন সে তো রক্তেরই টান,
কখনও অভিভাবিকা, কখনও বিপদের বন্ধু,
কন্যা সে যে সবার স্নেহের ধন।

আর স্ত্রী, কোন স্বর্গীয় বন্ধন যেন
রক্তের বাঁধনের চেয়েও শক্ত হয়ে যায়।
প্রতিটি দিনই তুমি সুখ ও দুঃখের সাথী।
এমনিভাবেই নারী তুমি অনন্যা
যুগে যুগে তুমি এসেছ কত রূপে,
তুমি গৃহিণী, তুমি সাহিত্যিক, চিকিৎসক,
তুমি শিক্ষিকা, তুমি ইঞ্জিনিয়ার, তুমি সৈনিক,
তুমি পাইলট, তুমি শিল্পী, শ্রমিক, বুয়া,
আরও কত না রূপে।
নারী, তোমার কোমল স্নেহময়ী রূপেই তুমি সুন্দর।
তোমার চোখের জল আর দেখতে চাই না।
নারী তোমার চলার পথে আসবে
তিক্ত কথার বাণ, কত বাঁধা ।
কিন্তু তুমি থাকবে
দৃঢ় অঙ্গীকারে বদ্ধ
থাকবে সামনে এগিয়ে চলার শপথ।
যা কিছু সুন্দর তাই দিয়েই তুমি করবে
আগামী বিশ্ব জয়।
নারী তোমাকে জয় করতেই হবে।
নারী তুমি শুধু পেতে চেয়ো না
দিতেও  জেনো।
মনে রেখো অধিকার পেতে হলে
কিছু দিতেও হয়।
তোমার জন্য কোনা পরিবার
যেন না হয় ধ্বংস।
কোনো পুরুষ যেন না হয়
হাত-পা বাঁধা।
আর আমরা দেখতে চাই না
বৃদ্ধা মার পরিতাপ, ধুঁকে ধুঁকে মরা।
আর আমরা দেখতে চাই না,
বোনের নির্যাতিত মুখ, গৃহবধূর লাশ
আর শুনতে চাই না স্ত্রীর করুণ আর্তি।
শুধু একটি দিনই কেন বিশ্ব নারী দিবস?
নারীর দিবস তা প্রতিটি দিনই।
প্রতিটি দিনই নারী তুমি থাকো
সহমর্মিতায়, সহযোগিতায়, শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়,
এই হউক আমাদের  সবারই অভিপ্রায়।