তোমাকে একটা গল্প শোনাতে চেয়েছিলাম
অর্ধেক শুনেছিলে বাকি ছিল আরো অর্ধেক।
বলেছিলে কোনো একদিন শুনিয়ে দিও।
আমি এরপর থেকে শুধু দিন গুনেছি
এক চাঁদনি রাতে ঝাউয়ের ছায়ায় বসে
বলি বলি করেও আর বলা হয়ে ওঠেনি
পরের জোৎস্নায় চালতা গাছটার তলায় বসে
তোমাকে সেই গল্পটা শোনতে হন্যে হয়ে
তোমায় ডেকছিলাম তোমায় মুঠোফোনে
ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছে আমার অসংখ্য আবেদন
হয়তো তুমি স্নিগ্ধ শয্যায় স্বপ্নে বিভোর ছিলে।
এরপর বহু জোৎস্নারাত এসেছে পৃথিবীতে
অর্ধেক বলা গল্পটার বয়স এখন প্রায় চার বছর।
হয়তো আর না বলা হবেনা তোমায়-
কার কপালের এক বিন্দু চাঁদে চোখ গেছে আটকে
শ্বেতশুভ্র এক বিন্দু যে চাঁদ আমাকে
বহু রাত্রি জাগিয়ে রেখেছে সেই চালতা তলায়
যেখানে তোমায় অর্ধেক গল্পটা শুনিয়েছিলাম।
অর্ধেক শুনে তুমি বলেছিলে আজ থাক
বাকিটা জোৎস্নারাতে শুনবো এই চালতা তলায়।
পাতার ফাঁকে চাঁদের আলোয় ভরে যাবে তোমার চুল
মুঠো ভরে তোমার চুলে জোস্না মাখিয়ে আমি
কতবার কল্পনায় বলতে চেয়েছি-
তোমারই কপালের ছোট্ট টিপে আমি
আটকে আছি গত চারটি বছর।
বাকি গল্প পুরন হলো আজ
স্বাক্ষী হলো জোৎস্নারাতের গল্পপ্রহর।
কত গল্পপ্রহর এলো গেলো গত চারটি বছর,
শুধু তুমিই আর এলে না।
অর্ধেক গল্পই আমার জীবনের গল্প হয়ে রইলো।