আমাদের পথ ছড়িয়ে গেছে কতদূর,
জানা নেই হদিস তার। শুধু হেটে চলা-
মেঠো পথ থেকে রাজপথ, অলি-গলি সব,
মানুষের অবয়ব ধরে ঘুরে ফিরি রোজ।
ধুলোর সঙ্গে দেখা হয়, হয়না কথা
ময়লার সঙ্গে শুধু নাক সিটকানোর সম্পর্ক,
ফুলের রেনু কখনো ছুইনা, পলকের তরে
শুধূ দেখে ছুটে যাওয়া ধু-ধু পথ পানে
মানুষের সঙ্গেও হয়কি দেখা? শুধু
ধাক্কা লেগে ইশারায় দুঃখপ্রকাশ ছাড়া!
বটতলা শুধুই দু-দণ্ড জিরোবার স্থান,
নদী শুধু বয়ে নিয়ে যায় আমার নৌকাখানি।
ঘাটে এলে পরে মাঝিরেই দিয়েছি পারানি,
নদীরে দিইনি কিছুই। তবু নদী আছে,
আছে পথের ধুলো, বটের ছায়া,
ময়লার স্তুপের পাশে ফুলও ফুটে আছে ঢের!
আমি শুধু অবয়ব হয়ে হেটে গেছি রোজ
কখনো রাখিনি খোঁজ, কিংবা হয়নি ফুসরৎ
দু-দন্ড স্থির হয়ে ভাববার- ধুলো আমার কে হয়?
কারা কারা বসে আছে ওই বটছায়ায়?
কেইবা যুগিয়েছে জল যুগযুগান্ত ধরে
পথের পাশে ওই পুষ্পলতিকারে!
ভাবা-ভাবি মিছে, বেলা চলে যায়
চলতে যে হবে আমায়, এই পথ
যতদূর নিয়ে যায়।