একটা ব্যালকনি।
কয়েকটা টবে কিছু ফুলের চারাকে রোজ রোজ
স্নান করিয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা।
একটু একটু শীত।
মাফলারটাকে ভালো করে জড়িয়ে নিতেই,
গত রাতের প্রেমকামড়ের দাগটাও ঢেকে গেল।
এই পাখিটাও উড়েছে, আর পাঁচটা পাখির মত।
শরীরের ওম মেখে মনে উঁকি দিলে বুনোগন্ধ পেয়ে
নাক সিঁটিয়ে সব পাখিই উড়ে যায়।
সামনে বিস্তীর্ণ প্রান্তরের শেষে পাহাড়ের কোলে
অস্তমিত সূর্য ছড়িয়েছে গোধূলির আদুরে আগুন।
আমি না বৈরাগী?
এই আগুন তো আমার বুক পোড়ানোর কথা নয়!
তবে কেন বুকের ভেতরটা চিনচিন করে?
কেন বারবার মনে পড়ে সেই বুনো পাখিটার কথা?
একদিন কংসাবতীর তীরে,
এরকমই এক গোধূলির মুহূর্তে,
যার কোলে মাথা রেখে মনে হয়েছিল,
আজ আমার বেঁচে থাকা সার্থক হল।
আমার ঝাঁকড়া চুলে আঙ্গুল খেলাতে খেলাতে যে বলেছিল,
"জানিস সাত্যকি, এই মুহূর্তটার জন্য কতটা মুখিয়ে থাকি আমি?
আমায় ছেড়ে কোথাও যাবিনা, কথা দে!"
কথা তো দিতেই হয়, মুহূর্তটাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য;
কথা না রাখার জন্য।
তারপর কেটে গেছে অনেকগুলো যুগ।
এখন একটা চিরায়ত ব্যথা, মৌনব্রত,
আর একটা অধুনা অযোগ্য হাত।
বন্ধ দরজা দেখে প্রেম ফিরে ফিরে যায়।
ডালে ভাতে বেশ সুখেই তো আছি!

****************************