তোমার কি মনে পড়ে,
সেই ঝুলন পূর্নিমা রাতের কথা?
দুজনে বসে ছিলাম সেই কৃষ্ণচূড়া গাছটার তলায়.
দোলনায় ঝুলতে পারিনি,
আমাদের কাছে তো কোন দড়ি ছিল না.
তবে, তুমি আমার কোলে বসে দোল খাচ্ছিলে,
তুমি আমায় দোলাও নি,
তবে আমার মনটাকে খুব জোরে দোলাচ্ছিলে.
ঝুলে দোদুল দুলে দুজনায়.
তোমার বক্ষ স্থল মাঝে মাঝে আমার বক্ষ স্পর্শ করছিল,
ভাল লাগছিল,
হৃদয়ের স্পর্শ কি?
তখন মালুম করতে পারিনি.
শত সখী পরিবেষ্টিত ছিলাম কি?
তা তো না.
তবে দুরে মাঠে প্রান্তের গৃহস্থের ঘর গুলিতে টিম টিমে আলো গুলো জ্বলে উঠে ছিল.
তাদের মাঝে হয়ত কোন গৃহ বধু দাঁড়িয়ে ছিল,
তাদের ঝুলন পূর্নিমা রাতের শেষের সন্ধ্যা প্রদীপ হাতে.
মাঝে মাঝে রাখালিয়া বাঁশির সুর আসছিল,
আমাদেরকে মাতাল করিয়ে দেবার জন্য.
আমরা ওই আলো গুলো দেখে হাঁসা হাঁসি করছিলাম,
ওরা কি আমাদের দেখে হাঁসছিল?
বোধ হয়, নাঃ.
কারন, সেটা ছিল আমাদের একান্ত গোপন অভিসার.
............