দামাল ছেলে করে কামাল,
সব কিছুতে উথাল পাথাল.
থাকিতে নারিনু কেহ ঘরে,
একটি ছেলের তরে.
পাড়ার লোকে সবে থাকে তটস্থ,
এই বুঝি করে কোন অনিস্ট.
বিচারের ঝাঁপি গেল ভরে,
একটি ছেলের তরে.
রাখে না কোন নিয়মের ধার ধারি,
দ্বিগুন বেগে করে শাসনের জারি.
অট্টহাস্যে গেল আকাশ বাতাস ভরে,
একটি ছেলের তরে.
ছোট ছেলেদের লয়ে থাকে সদা মসগুল,
অপার স্নেহ ঝরি পড়ে ছাপিয়া দুকুল.
কত মুমুর্ষু শৈশব ফিরিল ঘরে,
একটি ছেলের তরে.
পরিধি বাড়িল দস্যিপনার,
ছাড়ি সব দস্যি খেলনার.
কারো ঘুম নাই চোখে,- ঐ দস্যি সর্দারে,
একটি ছেলের তরে.
না- আর ভালো লাগেনা দস্যিপনাতে,
ফিরিতে চাহি আমি মূলস্রোতে.
জনগন কাঁপে থরথরে,
একটি ছেলের তরে.
সবে মিলি করে সাধু-সম্ভাষন,
কাজ একটি জুটায়ে দিল করি অন্বেষন.
করিল কত অসাধ্য সাধনেরে,
একটি ছেলের তরে.
দুর ছাই, মনের কোনে দেয় উকি,
পূরনো দিনের সেই বুজরুকী.
সকলে করে যেন দয়া, করুনারে,
একটি ছেলের তরে.
ফিরে গেলেম আবার দস্যিপনায়,
ঘন ঘোর মেঘে আকাশ ছায়.
আবার কাঁপিল থরথরে, শান্ত ভূধরে,
একটি ছেলের তরে.
ধরা পড়লেম আমি হাতেনাতে,
হয়ত ভূলি কোন ছলনাতে.
বস্তাবন্দি করল আমারে,
একটি ছেলের তরে.
সাঙ্গ হল মোর লীলা খেলা,
সাঙ্গ হল মোর দস্যিপনা.
...........