মানবতার আর্তচিৎকারে
বাতাসের গতিপথ পাল্টে গেছে,
সৌরজগতের ঘুর্ণায়নে মূহুর্তের
ছন্দ পতনের আওয়াজ কানে আসছে।

পাখি সব অনন্ত মিছিলে
করছে  বুকফাটা ক্রন্দন।
প্রকৃতি নিস্তব্ধ নিরবতায়
প্রত্যক্ষ করেছে জীবনের আকুতিগুলো ।

অগ্নি শিখায় নিভে গিয়েছে
অযুত সম্ভাবনা।
মানবতার ছন্দপতনে হারিয়ে গেছে
আপনজনা।

জাতি আবারো স্বাধ নিয়েছে
অগ্নিকাণ্ডের বিষাদ স্মৃতির।
স্মরণকালের বিভৎসতা
হুতাশনে দগ্ধ জাতির গত্র।
বিষাদ আর শোকাতুর সবে
বেদনায় নীল নক্ষত্র।

মৃত্যু মিছিল,
এ যেন এক অসীম যাত্রায়
রুপান্তরিত হয়েছে।
যেন জেদ ধরেছে থামবেনা এ মিছিল।

পাবকের বিভিষণে বিষন্ন হৃদে বাঁচার আকুতিময় চিৎকারগুলো আমার বুকের কম্পাংক বাড়িয়ে দেয় শতগুন।
তবু মৃত্যুর বিভীষিকাগুলো করুন দৃষ্টিতে দেখতে হয় আমায়,আমি নিরুপায়,
আমি বড় অসহায়।

মহাকাশের স্যাটেলাইটগুলো তাদের সর্বশক্তি দিয়ে প্রচার করে চলেছে, বিভিষীকাময় জীবন বাঁচানোর আকুতি আর উঁচু ভবন থেকে বাঁচার আশায় ঝাপিয়ে পড়ার অভিনব বাস্তব দৃশ্যগুলো।

কতটুকু নির্মমতা পৃথিবীর বুকে সংঘটিত হলে জাতির অঘোর ঘুমের রজনী শেষ হবে?
মানবতা আর কত অগ্নিগোলকে
পুঁড়ে ছাই হলে জাগবে জাতির বিবেক?
আর কত মা তার সন্তান হারানোর ব্যাথায় ছটপট করলে ভাঙ্গবে জাতির নিস্তব্ধ নিরবতা?

এ যে বড় বেশি নির্মম ইতিহাস।
যা কোন কবি তার কাব্যে কিংবা কোন চিত্রশিল্পী তার অঙ্কনে অথবা কোন চিত্রগ্রাহকের ক্যামেরার লেন্সে ধারণ করে প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখে না।
কোন চোখ তার দৃষ্টি দিয়ে এ নির্মম দৃশ্য অবলোকন করার ক্ষমতা রাখে না।


(রচনাকাল-২৯/০৩/২০১৯)