বাঙ্গালী জাতি কখনো কোনদিন হার মানেনি,
স্বীয় অধিকার আদায়ে কখনো পিঁছু হটেনি।
অত্যাচারীর কাছে তাঁরা মাথা নোয়ায়নি কভূ,
হানাদারদের হতে দেয়নি বাঙ্গালী জাতির প্রভূ।

অস্ত্র হাতে গর্জে উঠেছিল অযুত-লক্ষ প্রাণ,
জীবন দিয়ে রক্ষা করেছে বাংলা মায়ের মান।
পাক সেনাদের শোষন-নিপিড়ন মেনে নেয়নি তারা,
হানাদারদের ধোলাই দিয়ে করেছে দেশ ছাড়া।

রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে চিনিয়ে এনেছে স্বাধিনতা,
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে দূর করেছে অধীনতা।
উপহার দিয়েছে রক্তিম পতাকা আর স্বাধীন ভূখন্ড,
মাতৃভাষা বিরোধী ষড়যন্ত্র করে দিয়েছে লন্ড-ভন্ড।

স্বাধিনতার স্বাধ; আজ আমরা করছি ভোগ,
স্বাধিনতার শরীরে আবারও দেখা দিচ্ছে রোগ।
দেশ-মাটি আর স্বাধীনতা নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে আবার,
শকুনদের দৃষ্টি পড়েছে দেশের সার্বভৌমত্বের উপর।

বিশ্বাসঘাতক আর দালালেরা করছে চক্রান্ত,
দেশ বিকিয়ে দিতে তারা করছে শত ষড়যন্ত্র।
লাল-সবুজের পতাকায় ওরা আঁচড় লাগাতে চায়,
স্বাধীনতাকে ভুলুন্ঠিত করার প্রস্তুতি সম্পন্ন প্রায়।

রক্তে কেনা স্বাধীনতা কী হবে আবারও রক্তাক্ত?
তরুনরা কী উঠবে না জেগে দেশ করতে ষড়যন্ত্র মুক্ত?
বিজয়ের মাসে এসো শপথ করি হাতে রেখে হাত,
স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে; জীবন করবো বাজিমাত।

রচনাকালঃ ০৬-১২-২০১৮ইং, ৪.৩০ মিঃ