প্রিয় মুনিয়া,
তোমাকে আমি খুব ছোটবেলায় দেখেছি!
আমার বড্ড শখের ছবিতে
ছোটবেলা থেকেই আমার ছবি উঠানোর আগ্রহ বেশি
স্কুলে পড়ি, আর ঘুরে ঘুরে ছবি ওঠায়!
তোমার একটি ছবি তুলেছিলাম!
তোমার ছবিটি দেখে আমার মনে হয়েছিল
তুমি স্নিগ্ধতা , তুমি কোমলতা,তুমি ভালোবাসার কবিতা।

তারপর, অনেক বছর, তোমার সাথে আমার দেখা নেই!
আমার শহুরে জীবন,উদাস, উদাস মন!
উদাসীনতা দূর করতেই, লেখা-লেখিতে মনোযোগী হয়েছি,
কবিতা, গল্প, ছন্দ, উপন্যাস কিংবা পত্রিকায় কলাম লিখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
আমি হয়তো তেমন ভালো কিছু লিখতে পারিনা! তবুও ভালো কিছু করার বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তুমি হয়তো মাঝে মধ্যে আমার কিছু লিখা পড়তে!
আবার মাঝেমধ্যেই আমাকে লেখার উৎসাহ দিতে;
কখনো কখনো আমার লেখা বই, পড়ার জন্য চেয়ে নিতে তুমি।
আমার লিখা বই পড়ার সুবাদে, তোমার সাথে আবারও আমার যোগাযোগ হয়।

গত আট বছর পর বাড়ি গেলাম।
বাড়ি থেকে ঢাকায়, আসার পথে শুনলাম;
পাত্র পক্ষের লোকজন তোমাকে দেখতে এসেছিল।
আমি রীতিমতো অবাক হয়েছিলাম!
তোমার এখনো বিয়ে হয়নি?
আমি ঢাকায় চলে আসবো।
তারপরেও কেন জানি, তোমাকে দেখার, প্রবল আগ্রহ আমার! কিন্তু কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
মা আমাকে বলল, তোমার দাদুকে দেখে যেতে!
দাদুর অনেক বয়স হয়েছে, কখন কি হয় বলা যায় না!
আমার মনস্থির করলাম, তোমাদের বাড়িতে যাবো;
সামনে তাকিয়ে দেখি; তুমি যেন কি আনন্দে, জোরে সুরে হেসে উঠলে!
তোমার চোখে আমার চোখ পড়লো! তুমি আমাকে বলছো তোমাদের বাড়ি যেতে!
আমি তোমাদের বাড়িতে গেলাম।
তোমার দাদুকে দেখে, আমার নতশিরে দাদুর দোয়া নিলাম।
তারপর, তুমি আমার হাত ধরে, তোমাদের ঘরে নিয়ে গিয়েছো
তোমার আনন্দ দেখে,আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেলাম।

তুমি লিখছো,
দেখা হলে তুমি বেলি ফুল চাও
কিছুদিন পর;
কিশোরগঞ্জ নিরাময়ে তোমার সাথে আমার দেখা,
সেদিন কাঠবেলীর গাজরা দিয়েছিলাম,তোমার চুলের কোপায়।
তুমি খুব খুশি হয়ে ছিলে, আমারও তাই মনে হয়েছিলো।
এভাবেই তোমার-আমার ভালোবাসার গুরুত্ব বাড়ছে!
একে অপরকে বটবৃক্ষের শিকড়ের মত জড়িয়ে ধরেছি।
একদিন কিশোরগঞ্জ ফুড ক্যাম্পাসে দুজন মিলে লাঞ্চ সারলাম
তারপর কথোপকথনে কিছু সময় অতিবাহিত হলো!
সেইদিন তোমার ভালোবাসার প্রতিটি ছোঁয়া
যেনো আমার হৃদয়ে অঙ্কিত হয়েছিলো।
তুমি আমার জীবনের সেই রং হয়েছো,
যে রংয়ে আমি আমার প্রতিদিনের গল্প লিখি।
আমাদের সম্পর্ক যেন একটি অপূর্ব কবিতা,
যা প্রতিটি দিন নতুন নতুন শব্দে গুণগুণিয়ে ওঠে।
তোমার সঙ্গে থাকা মানে
প্রতিটি মুহূর্তে ভালোবাসার একটি নতুন অধ্যায় লেখা।
তুমি আমার স্বপ্ন, আমার সুখ, আমার সবকিছু।
হারিয়ে যায়, হারিয়ে যায়, তোমার অন্তরায়।

ভালোবাসার নতুন অধ্যায় লেখা
_ মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ