তুমি কে?  
মানুষ, নাকি রক্তখেকো জানোয়ার?  
রাতের আঁধারে হায়েনার মতো  
যে ঘুরে বেড়াও শিকারের খুঁজে!  

তুমি কে?  
শিয়াল, শকুন, না পশুরও অধম?  
মাংসল শরীরের গন্ধে মাতাল,  
যে শিশু, যে কিশোরী, যে নারী—  
সবাইকে দেখে তোমার লালসার উন্মাদনা জাগে?  

তুমি কি জানো?  
তোমার জন্মেও এক মা কেঁদেছিল,  
তোমারও বোন আছে,  
যে পথে হাঁটে, ভয় নিয়ে, আতঙ্ক নিয়ে,  
ঠিক যেমন বাকিরা ভয় পায় তোমার মতো জানোয়ারদের!  

কীভাবে পারো?  
একটা নিষ্পাপ মুখের আর্তনাদ শুনেও কি ঘুম আসে?  
একটা শরীর ক্ষত-বিক্ষত করেও কি আত্মা শান্তি পায়?  
তুমি কি সত্যিই মানুষ?  
নাকি পাষাণ হৃদয়ের এক অভিশাপ?  

তোমার জন্যই  
এই সমাজ ভয়ংকর, এই শহর অন্ধকার,  
তোমার জন্যই মায়ের কোল নিরাপদ নয়,  
তোমার জন্যই কন্যা সন্তানের জন্ম অভিশাপ!  

কিন্তু মনে রেখো,  
প্রতিটি কেঁদে ফেলা চোখ একদিন জ্বলে উঠবে,  
প্রতিটি নির্যাতিত বুক একদিন বিদ্রোহ হবে,  
আর সেদিন—  
তোমার জন্য থাকবে শুধু আগুনের ফাঁদ,  
আর পুড়ে যাওয়া এক লাশ,  
যে লাশের কান্না কেউ শুনবে না!

তুমি কে? _ মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ