ইচ্ছে যে হয় না আমার, তা তো নয়!
ভালোবাসার দিগন্তে তুমি মহাকাশ,
তোমাকে খুব  মনে পড়ছে আজ
আকাশে প্রেমের লু হাওয়া বইছে
বাতাসের স্পর্শ করছে যুগল প্রেম।
বিধ্বস্ত হৃদয়ের আকাশে টুকরো টুকরো মেঘ ভাসছে
মেঘের ছায়ায় আমি হারিয়ে যাই,আবার অলৌকিকভাবে ভেসে ওঠি
ক্ষতবিক্ষত হৃদয় আমার, আকাশের চেয়েও নিকৃষ্ট
বিব্বস্ত মন দুঃখে চড়চিল হচ্ছে, তবু খুঁজি কোথায় তুমি?

তোমাকে নিয়ে ছড়া, কবিতা,গান কিছুই লেখার কথা নয়,
মানুষ হারিয়ে গেলে আর্তচিৎকার অথবা আর্তনাদে ভারি হয় মন,
কখনো কখনো পুষা কুকুর মারা গেলে ভারাক্রান্ত হয় হৃদয়
কিন্তু তুমি চলে গিয়েছো বলেই যে আমি তোমার জন্য আর্তচিৎকার
অথবা আর্তনাদ করবো! এইটা অন্তত আমার কাছে যুক্তিসঙ্গত নয়।
কারণ তুমি আমার তো নয়, এবং কোনো দিন আমার ছিলেও না।
তুমি জানো? ভীষণ বোকা আমি!
তুমি চলে গিয়েছো অনেক আগেই,তবু বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলও
তোমার প্রতারণার প্রেম আমাকে ভিষণ ভাবে কষ্ট দেয়।

অমীমাংসিত কত কিছুর পরিবর্তন হয়েছে
কত কিছু জীবনের সাথে মানিয়ে নিয়েছি।
লোভীদের মনোভেদ কিংবা অবিভক্ত মনের বিরোধ
কত শত হিংস্র হায়েনাদের সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা।
গভীর অন্ধকারে ভয়াল পথ পাড়ি দিয়েছি একা একা
বিশ্বাস করো, ঘুণাক্ষরেও মনে হয়নি যে,
তোমাকে আমার প্রয়োজন ছিলো।
হাত ধরে পাশাপাশি হাঁটবো অথবা তোমার বুকে মাথাটা এলিয়ে দেব-
এমন দুঃস্বপ্ন আমি কোনো ভাবেই দেখি না আর।
তবুও সেফটিকের মত দুরারোগ্য
ক্ষত হয়ে বুকের ভিতর বসে আছো তুমি।

গ্রামের কাঁচাপথ ছেড়ে চলে এসেছি অনেক বছর হলো
মনে নেই দিগলাপাড়া ছফিরউদ্দিন মৌলভীর বাড়ির পাশের বাড়ির কথা
ঘরভাঙার ঝিলে হাস ছেড়ে দেওয়ার কথা ভুলে গেছি।
ভুলে গেছি স্কুলের প্রথম বেঞ্চে পাশাপাশি বসে থাকা
নিশি রাতে দাদির রুমে বসে থাকার মুহুর্তগুলোর উপলব্ধি।
অথচ এককোটি দীর্ঘশ্বাসের মত তুমি
আমার সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে বসে থাকো।

কিন্তু কিছুতেই উচিত নয় তোমাকে মনে রাখা,
প্রতারককে কে কবে মনে রাখে? কে দেয় না তাকে অভিশাপ?
বিশ্বাস করো,
আমি কিন্তু তোমাকে অভিশাপ দিতে পারি না।
নিজেকে ধিক্কার দিতে দিতে উপরে তাকিয়ে
সেই নিরাকার মহাশক্তিধরের কাছে নির্বিঘ্নে বলি
মুছে দাও আমার বুকের ভিতর গড়ে ওঠা
হাহাকারের  বিশাল-শূন্য মহাকাশটি
মীমাংসিত করে দাও, অমীমাংসিত ভালোবাসা।

__অমীমাংসিত ভালোবাসা - মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ