কখনো আমি ক্ষত-বিক্ষত, কখনো বিষে ভরা তীর
কখনো আমি প্রতিবাদের মিছিলে, শ্লোগানে মুখর বীর।
কখনো আমি জনসম্মুখে, প্রতিবাদের প্রতিধ্বনি
কখনো আমি দুঃশাসকের, কেঁপে কেঁপে ওঠা অগ্নি।
কখনো আমি জনতার চোখে, নিরাশার প্রতীক
কখনো আমি অধিকার আদায়ে, জনতার আলোর পথিক।
পল্টন থেকে কদম ফুল হয়ে, অবশেষে শাহবাগ
রাজু ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে,জনতার আত্মপরিচয়ের ডাক।
টি এস সি থেকে চারুকলা হয়ে, পায়ে পায়ে লাভ রোড
মধুদার ক্যান্টিনে বসে, গণধিকার আদায়ের জোট।
ফিটনেস বিহীন বাসের ভিড়ের মধ্যে, দাঁড়িয়েছি এক কোনে
বেকার চোখে হতাশার মোড়, চাকরির দিন গুনে।
একাত্তরে পাকিস্তানিরা, বুদ্ধিজীবীদের করেছে খুন
সেই ব্যথায় হৃদয় জুড়ে, জ্বলছে আগুন দ্বিগুণ।
আমি তো কখনো হেরে যাইনি, হেরে গিয়েছে দুঃসহ সময়
রাজপথে সেই ক্ষুধার্ত মুখ, মানেনিতো পরাজয়।
সুদিন আসবে এই ভরসায়, কত আন্দোলন-সংগ্রাম
অধিকার আদায়ের স্বপ্ন ছিল, তাই রাজপথ বেঁচে নিলাম।
অভাব ছিল মানিব্যাগে, তবু সাহস রাজার মত
প্রতিরোধ আর প্রতিবাদে, তাই হয়নি এ মাথানত।
আজও মাঝরাতে অন্ধকারে, পথ শিশুর চিৎকার কানে
দুমুঠো ভাত পেলে মাগো, বেঁচে যাব প্রাণে।
স্বাধীন দেশে রাখে না কেউ, দরিদ্র,হত-দরিদ্রদের খোঁজ
যুদ্ধাহত পুঙ্গো মানুষ, ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদে রোজ।
অধিকার আদায়ের ডাক, বারবার আসে, জীবন চলে যায়
পদ-পদবী একই থাকে, শুধু সরকার বদলায়।
দেওয়ালে দেওয়ালে দাবি,সরকার দেখবে তা ঘেঁটে
যেনো অধিকার বঞ্চিতদের, গল্প লেখা বিভিন্ন মলাটে।
আমি তো কখনো হেরে যাইনি, হেরে গিয়েছে আমার আয়ুস্কাল
আগুন হয়েই জ্বলছি শুধু বদলেছে মশাল।
বদলেছে মশাল-মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ