বরই পাতার গরম জলে, গোসল দেওয়ার আগে
কিছু বরই খেয়ে ফেললে, কিবা ক্ষতি লাগে?
শাশুড়ি আর ননদিনী,করে শুধুই ঝগড়া
বরই খাওয়ায় খোটা মারে, গলায় ফাঁসি দিয়ে মরগা।
স্বামীর সাথে কথা হয় না, গত সাতদিন হল
আজকেও সে, সকাল বেলা, অফিস করতে গেল
সপ্তম দিনের অনাহারে, শরীর হয়েছে দুর্বল
মৃত্যু আমার কানে কানে এসেবলে, এবার তুই চল।
অসহ্য এই জীবন জ্বালায়,বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালা
দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে, মৃত্যুসুধা করেছি হরণ
কাপড়ের টোকরা গলায় পেচিয়ে, ফ্যানের সাথে ঝুলেছি
সবাই বলছে ফাঁসি নিয়ে, আমি নাকি মরেছি।
লোকের নিন্দায় ,মৃত্যু আমার, আপন হয়েছিল
জীবন যুদ্ধে হেরে গিয়ে, আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হলো
আত্মহত্যা মহাপাপ, শুনেছি আমি বহুবার
ফাঁসির দড়িতেই জীবন আমার, উৎসর্গ করলাম এবার।
আমার মৃতদেহের, ঝুলছে নোটিশ বোর্ড
মা-বাবা আত্মীয়-স্বজন, পেয়েছে ভিশন ছুট
ইহকাল-পরকাল পাবো না কিছুই,ধর্মশয় মানুষের মুখে
জিন্দা মৃত্যু থেকে পেয়েছি মুক্তি, বললে বলুক লোকে।
আমার দেহ এখন, হয়ে গেছে লাশ
লাশের পোস্টমর্টেম, এখনই হবে
বুক বরাবর চিরে, তদন্ত হবে
তদন্ত শেষে, কবরে দেবে।
যিনি আমায় পাঠিয়েছিলেন, এই পৃথিবীতে
তিনিই আবার আমায়, নিয়ে গেলেন লুটে।
স্বর্গ নাকি নরক, কি আছে আমার
ফিরে এসেছি আমি, বিচার তোমার।
ফাঁসির দড়িতেই জীবন-
মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কবিতাটি একটি বাস্তবিক জীবন ব্যবস্থাপনা নিয়ে নির্মিত। যা বর্তমান সমাজের পারিবারিক কলরহ সৃষ্টির কারণে একটি জীবন অকালেই আজকের দিনে ঝরে গিয়েছে।