চৈত্রের খরায় ঝরা পাতা দেখেছি
দেখেছি আষাঢ়ে বৃষ্টি অনাধরা
চোখের কোণে যে নামছে হর হামেশা বৃষ্টি,
সে খেয়াল কেউ রাখে কী!
কিছু ভালোবাসা অগোচরে ঝরে যায়
হৃদয়ে ব্যথার চাবুকের ক্ষত চিহ্ন
বুকের পাজর ভেঙে উঠলো, ঢেউয়ের পর ঢেউ
নিথর দেহে ব্যথার আঁচড় কাটে
উপচে পড়ছে নদীর ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ
আহ্!
তবু মনে ঝরছে প্রেম, ভাসছি সুখের তরে,
দুঃখের খেয়ায় পা রাখি হরদম
তবুও যদি সুখের বৃষ্টি ঝরে।

সুখের মূল্য সবাই বুঝলেও
ব্যথার মূল্য বুঝার কেউ নাই
অসহ্য ব্যথা বিকিয়ে দিতে গিয়েও
ফিরে আসি বার বার
সুখের বাজারে ভীড় জমেছে হরদম
দুঃখের বাজারে মিথ্যার বেসাতি বসেছে সর্বত্র।

দেখেছি ভালোবেসে কাছে টেনে নেওয়ার সহস্র ভনিতা
কিন্তু বিনিময়ে আমিও মাংসাশীদের মতো দেহ চাই!
চাই নির্ভেজাল মনকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করতে
আবারও প্রেমের ভনিতায় জোড়া লাগানোর ব্যর্থ চেষ্টা
মোহের ধরায় আমি শুধু মোহ থেকে বাঁচতে চাই,
তবু টেনে ধরে হায়!

চোখ দুটো আমার আষাঢ়-শ্রাবণ, তোমরা জানো কি?
তবুও কেনো লেগে থাকে সেথা চৈত্রের খরা?
ঝরে পড়ে না বুক ফেটে অঝোর কষ্টের জল
আঁখি বর্ষন বর্ষে সেতো গোপনে নিশাকরকে সাথে নিয়ে।

আমার দীর্ঘশ্বাসের বর্ষন হচ্ছে হৃদয় মন্দিরে!
তুমি বিহীন মন্দির আমার শূন্য শহরে
ব্যথার বৃষ্টি ঝরে পড়ে লোকালয়ে অগোচরে!
হৃদযন্ত্রের বাঁকে বাঁকে শুধুই ব্যথার মোচড়
বর্ষা নামে অঝোর ধারায় আঁখি যমুনায়।

মনিষীর হৃদয়ে ঝরছে শুধুই ব্যথার আষাঢ়-শ্রাবণ
ব্যথার বর্ষন ক্ষণে ক্ষণে নিরবে নিভৃতে হৃদয় জুড়ে
জীবন বদলে যাবে,বদলাবে বার বার
একাকিত্বে আছি আমি, তুমি বিহীন শহরে
জীবন শুধুই তোমার জন্য আপ্লব ভূবণ
মনের ঘরে বাজনা বাজে ব্যথা ভরা সংকলন
আষাঢ়-শ্রাবণে অঝোর জল, ঝরছে অন্তরালে,
দুচোখ রয়ে যায় তবু চৈত্রের নদী হয়ে ভাসমান লোকালয়ে ।

__চৈত্রের খরায় ঝরা পাতা
মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ