কত যে বাহানায় তোমার কাছে গিয়েছি,
তার সব মনে না থাকলেও,কফি খাওয়ার বাহানাটা মনে রয়েছে।
আচ্ছা, তুমি কি পারো না! একটিবার কফি খাওয়ার বাহানায় আমার কাছে চলে আসতে?
অন্ততপক্ষে এক কাপ কফি খাওয়ার বাহানায়,
একাধিকবার চাইলেই তো কাছে আসতে পারো।
না হয়, তুমি একাধিকবার, না আসলে!
তুমি চাইলেই তো, কোন এক সন্ধ্যায়, একটিবার, শুধুই একটিবার, কফি খাওয়ার বাহানাই, আমার কাছে, ছুটে আসতে পারো।
কোন নিমন্ত্রণ ছাড়াই, কিংবা কোন আগমনী বার্তা না দিয়ে,কোন ফোন কল না করে,হুট করেই চলে আসতে পারো আমার কাছে।
তুমি আসার অপেক্ষায়, আমার কতোদিন ফুরিয়ে যায়,
কত নির্ঘুম রাত কেটে যায়! তবুও তুমি আসিলেনা!
কি বা দ্বিধায়, কিংবা কোন সংশয়, অথবা কোন জড়তা নিয়ে তুমি থাকো এমন দূরে?
বুকের পাঁজর ভেঙ্গে যায়, আমি আর বলবো না!
তবে মাটির দেহের ভিতর, যে, রক্তপিণ্ডটা আছে!
ভালোবাসার বাহানায়, তার কাছে সপে দিও আমায়
খুব বেশি মন খারাপ হইলে,তোমার ঐ রক্তপিন্ডে সমুদ্রে হবো বহমান। আর না হয় তুমিই এসো,
তুমি চাইলেই, যখন-তখন আমার কাছে আসতে পারো।
তোমার আনন্দঘন মুহূর্ত নিয়ে না আসো,
প্রয়োজনে খুব কষ্টের মুহূর্ত নিয়ে এসো!
খুব বেশি মন খারাপ হলে তুমি এসো
প্রতিক্ষণে, তোমার প্রতিটি কষ্ট জোড়া চোখকে আমি ভালোবাসবো।
যখন খুব একাকী লাগে, তখন না হয় ভালোবেসো। বলো, ভালোবাসবে না?
আঁখিপ্রাণে না তাকাও, জোড়া ঠোঁটে চুমু না খাও, গভীর আলিঙ্গনে না মাতো, হাত না ধরো, অন্তত পাশে বসে কফির মগটায় ঠোঁট ছুঁয়ে দিতেই পারো।
দ্বিধাবোধ কর তুমি, নাকি ভয় পাও?
আমার স্পর্শের নাকি অসহায় দৃষ্টির?
গভীর রাতের পর,সকাল হওয়ার গন্ধে কোন এক কাক ডাকা ভোরে এসো,না হয় সূর্যের আগমনী সকালে,তাতেও তোমার কোন আপত্তি থাকলে উত্তপ্ত রোদের দুপুরে এসো।
আর যদি দুপুরের কড়া রোদের ভয় হয়! তবে সূর্য অস্ত বিকেলে এসো। বিকেলের সময়ের সাথে নিজেকে না মিলাতে পারলে,গুড-গুডে সন্ধ্যায় এসো! তাহলে কি রাতে আসবে? এক কাপ কফি খাওয়ার বাহানাই, এসো আমার পাশে বসতে!
অন্তত এক কাপ কফি খাওয়ার বাহানাই তো তোমাকে আঁখি ভরে দেখতে পারবো।
কতদিন, কত রাত, কত সময় তোমাকে নয়ন ভরে দেখি না! তোমাকে দেখার তৃষ্ণা আমার কোন কালেই যাবে না। মৃত্যুর পরও তোমাকে দেখার আকাঙ্ক্ষা থাকবে বহমান।
এক কাপ কফি আর দুই জোড়া ঠোঁট,
তৃপ্তিতে ভরে উঠুক প্রেম বাহানার জোট।
কফি খাওয়ার বাহানাই এসো - মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ